বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে, তোড়েঙ্গে দম আগর, তেরা সাথ না ছোড়েঙ্গে’, বন্ধুত্বের (friendship) সম্পর্ক জীবনের একটি অত্যন্ত বিশেষ সম্পর্ক। ছোট বেলায় স্কুলে গিয়ে প্রথম বন্ধুত্বের সূচনা হয়। সময়ের নিরিখে অনেকেই তাঁর প্রিয় বন্ধুকে হারিয়েও ফেলে। আবার এমনও অনেকে আছেন, যাদের সেই ছোটবেলার বন্ধু আজও তাঁর পাশে আছে। ছেলেবেলার বন্ধুত্ব আজ অটুট রয়েছে।
মুথুকুমার ও নাগেন্দ্রন ছোটবেলার খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেই স্কুলের বন্ধুত্ব কোথায় যেন হারিয়ে যায়। দুজনের রাস্তা আলাদা হয়ে যায়। বর্তমানে ৪৪ বছর বয়সী মুথুকুমার ট্রাক ড্রাইভারের কাজ করতেন। লকডাউনের পূর্বে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করলেও, এখন ১- ২ হাজার টাকা আয় করতেও তাঁর কালঘাম ছুটছে। পরিবারের ৬ জনের মুখে অন্ন জোগাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন তিনি।
প্রায় ৩০ বছর মুথুকুমারের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর সেই ছেলেবেলার বন্ধু নাগেন্দ্রনের। বন্ধুকে আদর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান মুথুকুমার। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্ধুর ভগ্নপ্রায় বাড়ি দেখে কেঁদে ওঠে অপর বন্ধুর মন। বন্ধুর বাড়িতে মাথা নিচু করে ঢুকতে গিয়েই নাগেন্দ্রন বুঝতে পেরেছিলেন, বন্ধু মুথুকুমারের তাঁর সাহায্যের প্রয়োজন।
নাগেন্দ্রন জানান, ‘বন্ধুর দুরবস্থা দেখে আমার মন কেঁদে ওঠে। আমি বুঝতে পারি ওকে সাহায্য করা প্রয়োজন। আমি তখন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানাই। সেখানে ওঁর বাড়ির ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করি। সেই সমস্ত ছবি ভিডিও দেখে অনেকেই অর্থ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন’।
কোন ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্য ছাড়াই মাত্র ৩ মাসে বন্ধুর জন্য একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করেন নাগেন্দ্রন। দীপাবলিতে বন্ধু মুথুকুমার এবং তাঁর পরিবারকে সেই বাড়ি উপহার দিয়ে নাগেন্দ্রন জানান, ‘আমাদের মধ্যে যোগাযোগ না থাকলেও, স্কুলের বন্ধু সবসময় স্পেশাল হয়। পারলে আপনারাও আপনাদের বন্ধুদের পাশে দাঁড়ান’।