বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার একের পর এক জনকল্যানমূলক প্রকল্প এনে সকলকে চমকে দিয়েছেন। মূলত রাজ্যের বেকার থেকে শুরু করে মহিলা, বিধবা, বয়স্ক সবার পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। একের পর এক প্রকল্প এনেছেন যাতে মানুষ সেই সুবিধা নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন।
বর্তমানে রাজ্য সরকারের বহু প্রকল্প চলে, যার মধ্যে হল যুবশ্রী, কন্যাশ্রী, পথশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার ইত্যাদি। আর এই প্রত্যেকটি প্রকল্পই সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই প্রতিবেদনটিতে আলোচনা হবে রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘যুবশ্রী’ (Yuvashree Prakalpa) নিয়ে। এই যুবশ্রী প্রকল্প সম্পর্কে প্রকাশ্যে এসেছে এক বড় রকমের তথ্য যা শুনলে আপনিও চমকে যাবেন। বিশেষ করে যারা বেকার আছেন এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তাদের জন্য।
ক্রমশ দেশে বেড়েই চলেছে বেকারের সংখ্যা। বেকারের সংখ্যা বাংলাতেও বেড়েছে। তবে রাজ্যের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই সরকার যুবশ্রী নামে একটি প্রকল্প এনেছেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এই প্রকল্প রমরমিয়ে চলছে। এই প্রকল্প নিয়ে প্রকাশে এলো বড়ো রকমের আপডেট। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি আপনি বেকার হন তাহলে আপনাকে প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এই প্রকল্পে আবেদন করলেই আপনি পেয়ে যাবেন ১৫০০ টাকা।
যুবশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন কিভাবে?
প্রথমত তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করুন। আবেদনকারীদের জন্য কিছু শর্তাবলী আছে। সেগুলি হল, আপনার ব্যক্তিগত বিবরণ যেমন আপনার নাম, পিতা-মাতা/ স্বামীর নাম, জাতি, বৈবাহিক অবস্থা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রয়োজন। আপনার বর্তমান যোগাযোগের বিবরণ যেমন, ডাক ঠিকানা, রাজ্য/ মহকুমা/ জেলার নাম, পিন কোড, এক্সচেঞ্জ, মোবাইল নম্বর, আধার নম্বর ইত্যাদি প্রয়োজনীয়। এছাড়াও আপনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দিতে হবে, বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়/কাউন্সিলের নাম, পাসের বছর, প্রাপ্ত মোট নম্বর ইত্যাদিও দেওয়া বাধ্যতামূলক।
অনলাইনে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পর, আবেদন ফর্মের প্রিন্টআউট ডাউনলোড করে নিন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করুন এবং এটি ৯০ দিনের মধ্যে এসডিও অফিসে জমা দিন। তবে এখানে আরও কিছু জিনিস জানিয়ে দেওয়া জরুরি। যেমন আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। যুবক-যুবতীদের বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই মাধ্যমিক পাস হতে হবে। উচ্চশিক্ষিত হলেও অসুবিধা নেই।
এছাড়া আবেদনকারীর কাছে অবশ্যই থাকতে হবে আধার কার্ড, ভোটার আইডি, মাধ্যমিকের মার্কশিট ও অ্যাডমিট কার্ড, যেকোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট, আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজ ফটো ও কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে তার জেরক্স।