বাংলাহান্ট ডেস্কঃ COVIED-19 এর জেরে সারা বিশ্বে জেরে লকডাউন (lockdown) চলছে। আর এর জেরে মানুষ গৃহবন্দি। অনেকেই লকডাউনে ঘরে বসে কাজ করছে। কিন্তু পুলিশ কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে। ছুটি নেই। একনাগাড়ে কাজ করে চলেছে। হঠাৎই বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলকাতা পুলিসের একদল কর্মী। ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার রাতে ধুন্ধুমার বাঁধে কলকাতা পুলিসের ট্রেনিং স্কুলে।
তাঁদের অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কলকাতা পুলিস ট্রেনিং স্কুলে যাঁদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গেই অন্যান্য পুলিসকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। এমনকি মিলছে না পর্যাপ্ত মাস্ক, স্যানিটাইজারও। তাঁদের মূল অভিযোগ ডিসি কমব্যাট ফোর্সের বিরুদ্ধেই।
তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরও এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপই করেননি ডিসি কমব্যাট। এরপরই মঙ্গলবার রাতে তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পরেন। ঘটনাস্থলে যান ডিসি কমব্যাট। এক শ্রেণির পুলিসকর্মী উত্তেজিত হয়ে চড়াও হন ডিসি কমব্যাট ফোর্সের ওপরেই। কার্যত বাঁশ দিয়ে মারা হয় ডিসি কমব্যাটকে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পুরো ঘটনাটি পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মারকে (Anuj Sharma) জানানো হয়েছে। কী কারণে এই হামলা তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বৈঠক। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সবদিক খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন অনুজ শর্মা। পাশাপাশি যাঁরা একাজ করেছেন তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
করোনার জেরে ছুটি নেই। দিনের পর দিন একনাগাড়ে কাজ। হঠাৎই বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলকাতা পুলিসের একদল কর্মী। ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার রাতে ধুন্ধুমার বাঁধে কলকাতা পুলিসের ট্রেনিং স্কুলে।
জানা গিয়েছে, দিনের পর দিন ছুটি না মেলায় ক্ষুব্ধ এক শ্রেণির পুলিসকর্মীরা। করোনায় ছুটি না মেলাতেই এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভ থামাতে গিয়েই গুরুতর আক্রান্ত হন ডিসি কমব্যাট।