দিনেদুপুরে রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাত দল, পুলিশের সাথে গুলির লড়াই, তারপরে যা হল….

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার কার্যত দিনেদুপুরে ভয়াবহ ডাকাতির চেষ্টা হল রাজ্যে (West Bengal)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) রানিগঞ্জের (Raniganj) একটি প্রসিদ্ধ সোনার দোকানে একদল ডাকাত ডাকাতির চেষ্টা করে। ওই ডাকাত দলের প্রত্যেকেই সশস্ত্র অবস্থায় ছিল। এমতাবস্থায়, খবর পেয়েই সেখানে দ্রুত পৌঁছে যায় পুলিশ। এদিকে, পুলিশ পৌঁছতেই গুলি ছুড়তে শুরু করে ডাকার দল।

এদিকে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, উল্টোদিক থেকেও পাল্টা গুলি চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি চলে। পাশাপাশি, ওই ডাকাত দল শেষ পর্যন্ত একটি ব্যাগ নিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাইকে চেপে এলাকা থেকে চম্পট দেয় বলেও জানা গিয়েছে।

A group of robbers present at the Raniganj gold shop.

তবে, ওই সোনার দোকান থেকে কিছু খোয়া গিয়েছে কি না, সেই বিষয়ে এখনও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। তবে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ডাকাত দলের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যদিও, তাকে পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি। এদিকে, এই ডাকাতির ঘটনার ছবি এবং ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে পুরো বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে বড় সঙ্কট! দেশে বাড়বে বেকারত্ব, চরমে পৌঁছবে মুদ্রাস্ফীতি, সমীক্ষায় জানাল RBI

জানা গিয়েছে যে, ওই ডাকাত দল প্রায় তিন থেকে চার মিনিট ঘটনাস্থলে ছিল। সেখান থেকে পালানোর সময়ে গুলি চালাতে চালাতে একটি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় তারা। তবে, ওই ব্যাগে কি ছিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গুলি ছোড়ার ফলে আশেপাশের বাইক এবং গাড়িতে গুলির দাগ পরিলক্ষিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে মেগা প্ল্যান বাবরের! পাকিস্তান দলে ফিরছেন বিধ্বংসী প্লেয়ার

এদিকে স্বাভাবিকভাবেই সামগ্রিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুরো এলাকা জুড়ে চরম আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রানিগঞ্জ বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরাও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। জানা গিয়েছে, একটি চায়ের দোকানের কেটলিতে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি, এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে গুলির খোল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর