বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লটারি এমন একটি শব্দ, যা গরিব থেকে মধ্যবিত্ত সকল শ্রেণীর মানুষের মনে একটি নতুন আশার সঞ্চার করে। যদিও লটারির নেশা খুবই বিপদজনক বলে মনে করা হয়, তবে প্রবল অনটনের মধ্যে বহু মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে এই লটারি। একাধিক সময় বহু মানুষের জীবন এক মুহূর্তে বদলে দেয় শুধুমাত্র একটি টিকিট। সম্প্রতি, মৌসুনি দ্বীপের এক দিনমজুরের জীবনেও ঘটে গেলো চমৎকার।
সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যেই কোনোমতে দিন কেটে চলেছিল এক যুবকের আর শেষ পর্যন্ত 30 টাকার একটি লটারির টিকিট তার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দিল। জানা গিয়েছে, ভোলানাথ হাজরা নামের যুবকটি দিনমজুরের কাজ করেই সংসার চালাত। যদিও সেই কাজে যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতো সে, তাতে ঘর চালানো একপ্রকার মুশকিল ছিলো আর সেই কারণে সারা দিন-রাত ঘুরে বেরিয়ে আইসক্রিম বিক্রি করে চলত সে। উদ্দেশ্য শুধু মাত্র একটাই, স্ত্রী এবং দুই ছেলে ছেলে-মেয়ের পরিবারে কোনো অভাব না রাখা;
তবে এত পরিশ্রমের পরেও দিনের পর দিন সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত আর এর পরেই গতকাল আচমকা কোন কারন ছাড়াই স্থানীয় দোকান থেকে একটি লটারি টিকিট কিনে ফেলে ভোলানাথ। তবে সেই লটারি টিকিট যে তার জীবনকে এক মুহূর্তে বদলে দেবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি সে।
পরবর্তীতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কোটি টাকা জেতার খবর পায় ভোলানাথ। যদিও প্রথমে সে মনে করে হয়তো স্থানীয় বাসিন্দারা তার সঙ্গে মজা করছে, এরপর লটারির দোকানেও দ্রুত পৌঁছে যায় সে এবং সেখানে গিয়ে টিকিটের নম্বর মেলাতেই খুশিতে একপ্ৰকার পাগল হয়ে পড়ে ভোলানাথ। এমনকি এরপর নিরাপত্তার কারণে স্থানীয় থানায় উপস্থিতও হয় সে।
তবে হঠাৎ কোটি টাকার অর্থ লাভের পর তার জীবনের লক্ষ্য কি হতে চলেছে? এ প্রশ্নের জবাবে ভোলানাথ জানায়, “আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল একটি পাকা ঘর বানাবো। কিন্তু সাংসারিক অভাবের মধ্যে তা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু এবার আমি তা বানাতে পারবো সঙ্গে একটা দোকান বানিয়ে আমি ব্যবসা করতে চাই। সবচেয়ে বড় কথা এর ফলে আমার দুই ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা যাবে।”