বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা হওয়া সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিয়ে দলের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে। বিগত বেশ কিছু ধরে তাঁকে দলীয় কর্মসূচি এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও দেখা যায়নি। কিন্তু এবার বিজয়া সম্মিলনীর আমন্ত্রণ পত্র দেখে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে গেল সবুজ শিবিরের।
দলের কার্ডে গেরুয়া রং
আগামী ৭ ই নভেম্বর পুরুলিয়া জেলায় এক বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেশ কিছু কার্ড ছাপানো হয়েছে। কিন্তু কার্ড যে আপাদ মস্তক যে গেরুয়া রং-এ রাঙানো হয়েছে। অর্থাৎ আমন্ত্রণ পত্র তৈরি করা হয়েছে গেরুয়া রং দিয়ে। এমনকি সেখানে আয়োজকদের পরিচয় হিসেবে লেখা রয়েছে ‘আমরা দাদার অনুগামী’।
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যে একজন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা, কার্ডে তাঁর বিন্দুমাত্র উল্লেখ করা নেই। উল্টে রাজস্থানী পাগড়ি পরিহিত শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ছাপনো রয়েছে কার্ডের নিচে। এই কার্ড দেখেই তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে।
মন্তব্য করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম
শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের আচরণে কিছুটা টিপ্পুনির সুর শোনা গেল রাজ্যের অপর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলায়। তিনি বললেন, ‘রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী’। কবিগুরুর এই কবিতার লাইনের মধ্য দিয়ে তিনি ভালো ভাবেই বুঝিয়ে দিলেন, নিজেকে যে যতই বড় ভাবুক না কেন, দলে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর কথাই শেষ কথা।
সিদ্ধান্তে সহমত
এবিষয়ে আবার পুরুলিয়ার অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় জানিয়েছেন, ‘আমরা সকলে তৃণমূলের সৈনিক। দলের নাম নিয়ে কোন কর্মসূচী আয়োজন করলে, দলের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তবে দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় এরকম অনেকেরই ইচ্ছা থাকলেও, দলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। তাই ‘আমরা দাদার অনুগামী’ নামে এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় এই ব্যানার লাগানোও হয়েছে’।