নাছোড়বান্দা! এজলাসে ঢুকে খোদ বিচারপতি গাঙ্গুলিকে করে তুললেন অতিষ্ঠ, কে সে ব্যক্তি?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)! বর্তমানে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে তার নাম জানেন না এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো খুব কম। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতির কড়া পর্যবেক্ষণ, একধিক তাৎপর্যপূর্ণ রায়ে ঘুম উড়েছে বহু প্রভাবশালীর। অনেকের কাছে এ এক ভয়ের নামও বটে। তবে শুক্রবার এই বিচারপতির এজলাসেই অবাক করা কাণ্ড।

অন্যান্য দিনের মত শুক্রবার দুপুরে ১৭ নম্বর কোর্টে নিজের এজলাসেই বসে ছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আসলে এদিন প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানি চলছিল৷ তা শেষ হওয়ার কিছুক্ষন পরই হঠাৎ এজলাসে ঢুকে পড়লেন এক আগুন্তুক৷ সোজা চলে গেলেন বিচারপতির সামনে।

তারপর? অচেনা-অজানা ওই ব্যক্তি বিচারপতির হাতে গুজে দিলেন এক চিরকুট (Piece Of Paper)। তাতে লেখা, ‘‘প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল কোথায়?’’ তারপর তিনি বলেন, ‘‘আমি বেলা ১১টা থেকে আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে খুঁজছি। দুপুর ১টা পর্যন্ত খুঁজলাম। কিন্তু পেলাম না।’’

আরও পড়ুন : ফের অ্যাকশনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! এবার আরও একটি মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ

কিছুটা অবাক হয়ে যান বিচারপতিও। এরপর জাস্টিস গাঙ্গুলি বলেন, ‘‘আমি কী ভাবে বলব? এখান থেকে কি এ বিষয়ে জানানো হয়? আপনি আইনজীবীদের বলুন। ওনারা জানতে পারেন।’’ তবে ওই ব্যক্তির সেই একই কথা, ‘‘আপনিই বলুন না। তা হলে ভাল হয়। আমি অনেক খুঁজেছি, পাচ্ছি না।’’

আরও পড়ুন : এবার সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশ্যে অনুরোধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের! বললেন, ‘আমার হাত…’

justice ganguly simple

প্রসঙ্গত অনুমতি ছাড়া এজলাসে কোনও ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ। একমাত্র প্রবেশ করতে পারেন কোর্ট অফিসাররা। ঘটনার খবর পেয়ে কোর্ট রুমের বাইরে থেকে ভিতরে চলে আসেন এক পুলিশ আধিকারিক, হাই কোর্টের শেরিফও উপস্থিত হন। তৎক্ষণাৎ ওই ব্যক্তিকে এজলাসের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে রিষড়ায় বাসিন্দা সুনীলকুমার পাল নামের ওই ব্যক্তি পেশায় চিকিৎসক। তবে কিভাবে তিনি বিচারপতির এজলাসে ঢুকে পড়লেন তা জানা যায়নি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর