বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি মাসেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেই সময়ে তিনি উত্তর দিনাজপুরের একাধিক রেল প্রকল্প সম্পন্ন করার প্রসঙ্গে দাবিপত্র জমা দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রীর কাছে। এমতাবস্থায়, ঠিক তার পরেই রেল মন্ত্রকের তরফে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য আরও ১৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, সুকান্তের ওই দাবিপত্রের মধ্যে রয়েছে গাজোল-গুঞ্জরিয়া ভায়া ইটাহার পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করার প্রকল্পটিও। এছাড়াও, তিনি রেলমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবিত বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেলপথ সম্প্রসারণের কাজে দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে রেলপথ নির্মাণের দাবি জানান। শুধু তাই নয়, বালুরঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেন চালানোর পাশাপাশি বালুরঘাট থেকে ভেলোরের কাটপাটি স্টেশন পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেন চালুর বিষয়টিও উপস্থাপিত করেন।
এছাড়াও, বালুরঘাট রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় এনেও স্টেশনটিকে আপগ্রেড করার দাবি জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে, এবার সুকান্তের আর্জির ঠিক পরেই বালুরঘাট থেকে হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পে আরও ১৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রেল মন্ত্রক। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত ৩১ জুলাই এই প্রকল্পে ৮৪ কোটি টাকা পাঠায় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: Indian Railways: এটিই হল ভারতের দীর্ঘতম নামের রেল স্টেশন, এর উচ্চারণ করতে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যাবেন!
তারপরে দ্বিতীয় দফায় ১৫৫ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনের দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব রেল। এদিকে, এই অর্থ বরাদ্দের পরেই রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। মূলত, এই প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ধরে থমকে থাকলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত নভেম্বর থেকে এই প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেমন হবে গেরুয়া বন্দে ভারতের অন্দরসজ্জা? দেখলে ধাঁধিয়ে যাবে চোখ! প্রকাশ্যে এল ফার্স্টলুক
পাশাপাশি, গত নভেম্বর থেকেই জমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে সমীক্ষার কাজও শুরু করে দেওয়া হয় রেলের তরফে। যদিও, সেই কাজ গত জুলাই মাসে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে, ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে ২৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবের পরে গত ৩১ জুলাই রেলের তরফে ৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রেল।
এদিকে, ২০১৯ সালে ওই প্রকল্পের জন্য জেলা প্রশাসনকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রেল। যার ফলে সামগ্রিকভাবে রেল এই প্রকল্পের জন্য এখনও পর্যন্ত ২৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করল। তবে, এই প্রকল্পে এখনও বাকি রয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। রেল সূত্রে সেই টাকা পরবর্তী পর্যায়ে জেলা প্রশাসনকে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, রেলের এক আধিকারিক ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, প্রকল্পের টাকা চলে এসেছে। এবার, যত তাড়াতাড়ি জমির অধিগ্রহণ হবে তত তাড়াতাড়ি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।