বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। গত ১১ মার্চই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে CAA। বিরোধীরা তুমুল বিরোধীতা শুরু করলেও এই আইন যে প্রত্যাহার হবেনা সেকথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণা শুনে খুশির হাওয়া মতুয়াগড়েও।
যদিও CAA নিয়ে বিন্দুমাত্র খুশি নন বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথম থেকেই এই আইনের বিরোধিতা করে আসছেন তিনি। দিনকয়েক আগে হাবড়ার সভামঞ্চ থেকে CAA নিয়ে মতুয়াদের সাবধান করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কথায়, CAA মোদী সরকারের ভাঁওতা। আর এতেই ক্ষেপে উঠেছে মতুয়াদের একাংশ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা অভিযোগ করেছেন, CAA নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার বক্তব্যে বিভেদ বাড়বে বই কমবেনা। কেবল ক্ষোভ প্রকাশ করেই থেমে থাকেননি তারা। এইদিন গোপাল গোয়ালি নামে এক ব্যক্তি বাগদা থানায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন : ‘আমি গর্বিত…’, BJP তে অনুরাধা পাড়োয়াল! লড়বেন লোকসভা নির্বাচন? মুখ খুললেন গায়িকা
উল্লেখ্য, এইদিন সিএএ আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘CAA-র কোনও স্বচ্ছতা নেই৷ এটা টোটাল ভাঁওতা৷ নির্বাচনের আগে এটা বিজেপির যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, জুমলাবাজি৷ আধার কার্ড, ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন কোনও ব্যক্তি আলাদ করে নাগরিকত্ব পেতে আবেদন জানাবেন? যাদের দরখাস্ত করতে বলা হচ্ছে, তারা নাগরিক থাকা সত্ত্বেও আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই নাগরিকত্ব হারাবেন, অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন৷ এটা অধিকার কাড়ার খেলা৷ আবেদন করলে আর নাগরিকত্ব পাবেন কি না কোনও গ্যারান্টি নেই৷ সম্পত্তি হারাবেন। সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবেন৷’
আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে চরম বেইজ্জত করল IMF, ক্ষমা চাইতে হল খোদ অর্থমন্ত্রীকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের বিরোধীতা করে গোপাল গোয়ালি বলেন, ‘CAA নিয়ে তিনি যা যা বলছেন, তা অসত্য। এইভাবে তিনি রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আমরা চাই, তার কড়া শাস্তি হোক।’ যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই বক্তব্যের সাফ বিরোধীতা করা হয়েছে। তৃণমূল সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘যিনি এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করছেন, তিনি কিছুই বোঝেননি। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছে সিএএ নিয়ে, তা একদম ঠিক।’