বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) তারিখ ঘোষণার পর থেকেই হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির ছুটে যাচ্ছে শাসক দলকে লক্ষ্য করেই। কবিতার ভাষায় প্রতিবাদ। কবিতায় শাসকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন। আর তাতেই পথ আটকে ওই কবিকে বেধড়ক মার। নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর গোবিন্দপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আর এই ঘটনাতেও অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress)।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট না দিতে পারার যন্ত্রণা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদের সেই ভাষা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন নদিয়ার শান্তিপুরের কবি কল্লোল সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় কবিতা পোস্ট হতেই শাসকদলের রোষের মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ জানান তিনি।
শান্তিপুর থানার বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা ৩৪ বছরের কল্লোল সরকার। ২০১২ সাল থেকে তিনি সাহিত্যচর্চা ও লেখালেখি শুরু করেন। একাধিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা ও নিজের লেখা কবিতার বইও রয়েছে তাঁর। গত ২৫ জুন নিজের লেখা কবিতা ‘বিদ্রোহ’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এরপরই শাসক দল তৃণমূলের চোখের বালি হয়ে ওঠেন তিনি।
এই ধরনের কবিতা কেন লেখা হয়েছে, কেনই বা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হয়েছে, ইত্যাদি একাধিক প্রশ্ন তুলে গত ২৫ জুলাই বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে শান্তিপুরের গলায় দড়ি বটতলা এলাকায় কল্লোলের পথ আটকে তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ।
তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। ওইদিনই তিনি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে শান্তিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
শুধুমাত্র কবিতা লেখার কারণেই কবির ওপর এই আক্রমণের ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, ‘তৃণমূল বাহিনীর আক্রমণের হাত থেকে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীরা কেউই বাদ যাচ্ছেন না। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই’।