বাংলা হান্ট ডেস্ক: কার ভাগ্যে কি লেখা রয়েছে তা কেউই বলতে পারেনা। পাশাপাশি, ভাগ্যের ফেরে কয়েক মুহূর্তেই পাল্টে যেতে পারে জীবনও। সম্প্রতি ঠিক সেইরকমই এক ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। যেখানে এক হতদরিদ্র মহিলার সাথে কার্যত ঘটে গিয়েছে বিরাট “চমক”! আর তার সাথে পাল্টে গিয়েছে তাঁর ভাগ্যও। মূলত, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পান্না জেলার ওই মহিলা এক্কেবারে হতদরিদ্র থেকে হয়ে গিয়েছেন লাখপতি।
কাঠ কুড়োতে গিয়ে হিরে পেলেন ওই মহিলা: জানা গিয়েছে, ওই মহিলা প্রতিদিনের মতই জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়ে কার্যত পাল্টে ফেলেছেন ভাগ্য। কারণ, কাঠ কুড়োতে যাওয়ার সময় রাস্তার মধ্যেই তিনি একটি বহুমূল্যের হিরে খুঁজে পান। এমতাবস্থায়, তিনি হিরেটির খোঁজ পেয়েই সেটিকে ডায়মন্ড অফিসে জমা দিয়ে দেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলা ইতিমধ্যেই হিরের খনির জন্য বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। এমতাবস্থায়, ওই এলাকা থেকেই হিরেটি খুঁজে পান ওই মহিলা। জানা গিয়েছে, সন্ধান পাওয়া হিরেটি হল ৪.৩৯ ক্যারেটের।
হিরেটির মূল্য ২০ লক্ষ টাকা: এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ড অফিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই হিরেটির দাম হতে পারে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি, ডায়মন্ড ইন্সপেক্টর অনুপম সিং জানান, পান্নার গেন্দা বাই নামের এক মহিলা যখন কাঠ সংগ্রহ করতে জঙ্গলে যাচ্ছিলেন তখনই তিনি তা খুঁজে পান। মূলত, গত বুধবার, এই ঘটনাটি ঘটে। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন যে, ওই মহিলা অফিসে এসে হিরেটি জমা রেখেছেন।
জানা গিয়েছে, গেন্দা বাই যখন হিরেটি খুঁজে পেয়েছিলেন, তখন তিনি এটি শনাক্ত করতে পারেন নি। আর সেই কারণেই তিনি সরাসরি সরকারি দফতরে পৌঁছে যান। তারপরেই তিনি জানতে পারেন ওই বহুমূল্য হিরের ব্যাপারে। এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন ওই মহিলা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি, গেন্দা বাই জানিয়েছেন যে, তিনি এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ নিজের ঘর তৈরিতে এবং সন্তানদের বিয়ে দিতে ব্যবহার করবেন।
নিলাম করা হবে হিরেটি: জানা গিয়েছে, পান্না নগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দা গেন্দা বাই গত বুধবার জেলের পিছনের জঙ্গলে কাঠ আনতে গিয়েছিলেন। সেখানেই পথিমধ্যে তাঁর চোখ পড়ে মাটিতে পড়ে থাকা একটি চকচকে পাথরের ওপর। এমতাবস্থায়, তিনি সেটি বাড়িতে নিয়ে এসে প্রথমে তাঁর স্বামীকে দেখান। যদিও, তাঁরা পাথরটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। তারপরেই সংশ্লিষ্ট দফতরে গেলে জানা যায় যে, সেটি আসলে একটি হিরে।
আপাতত, ওই হিরেটির নিলাম করা হবে এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পরে, অবশিষ্ট টাকা গেন্দা বাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, গেন্দা বাইয়ের পরিবারে তাঁর স্বামী ছাড়াও চার ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। কোনোমতে মজুরি ও কাঠ বিক্রি করেই সংসার চলে তাঁদের। এমনকি, আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁর সন্তানেরা পড়াশোনাও করতে পারেনি। যদিও, এই হিরে পাওয়ার ঘটনায় কার্যত এক লহমায় পাল্টে গেল তাঁদের জীবন।