অপ্রতিরোধ্য ভারত বারংবার টক্কর দিচ্ছে চিনকে! এবার দেশেই তৈরি হতে চলেছে স্মার্টফোন হাব

Published on:

Published on:

A smartphone hub is going to be built in India.

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিশ্ব দরবারে স্মার্টফোন নিয়ে নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে ভারতে (India)। এতদিন পর্যন্ত এই খাতের সবচেয়ে বড় নাম ছিল চিন, কিন্তু সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা—ক্রমশ স্মার্টফোন রফতানিতে মাথা তুলছে ভারত। বিশেষ করে আইফোন রফতানিতে ভারতের সাফল্য এখন প্রায় চিনের সমকক্ষ। এই অবস্থায় বিশ্বের অন্যতম ইলেকট্রনিক্স নির্মাতা সংস্থা ফক্সকন এবার আরও বড় দাও খেলছে। সংস্থাটি চিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এবার ভারতেই বিপুল বিনিয়োগের পথে হাঁটছে।

চিনকে টেক্কা দিয়ে এবার ভারতেই (India) খুলবে স্মার্টফোন হাব

তাইওয়ানের এই সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে অ্যাপলের মূল উৎপাদনকারী অংশীদার হিসেবে পরিচিত। তবে ফক্সকন এখন আর শুধু আইফোনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছে না। সংস্থা এবার গুগল পিক্সেল স্মার্টফোন তৈরির কাজও শুরু করেছে ভারতে (India)। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর কারখানায় ইতিমধ্যেই পুরোনো মডেলের গুগল পিক্সেল ফোনের উৎপাদন শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের অগস্ট মাস থেকে। এর মাধ্যমে স্পষ্ট যে, শুধু দেশীয় বাজার নয়—ভারতকে তারা এখন বৈশ্বিক রফতানি কেন্দ্র হিসেবেই গড়ে তুলতে চাইছে। এখান থেকেই তৈরি ফোন ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেও রফতানি হবে।

আরও পড়ুন:রাম মন্দির-অপারেশন সিঁদুর থেকে নকশালবাদ-GST! দীপাবলিতে জাতির উদ্দেশ্যে চিঠি প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রচলিত হয়েছে ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ স্ট্র্যাটেজি—যার মূল লক্ষ্য চিনের বিকল্প উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করা। এই নীতির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী এখন ভারত (India)। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) প্রকল্প এক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখছে। সরকারের এই উদ্যোগ একদিকে যেমন দেশীয় উৎপাদন বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে ফক্সকনের মতো সংস্থাগুলিও বিশ্ববাজারে সরবরাহ ব্যবস্থার ঝুঁকি কমানোর সুযোগ পাচ্ছে।

ফক্সকন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে তারা তামিলনাড়ুতে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে রাজ্যে প্রায় ১৪ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিনিয়োগ শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি আসলে এক কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত—যেখানে ভারত (India) হয়ে উঠছে বৈশ্বিক উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু।

A smartphone hub is going to be built in India.

আরও পড়ুন:ধনতেরসের দিন ধনবর্ষা মথুরায়! বাঁকে বিহারী মন্দিরে মিলল ‘সাত রাজার ধন’

এছাড়াও এই সংস্থা শুধু স্মার্টফোনেই সীমাবদ্ধ নয়। ইলেকট্রিক ভেহিকল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর সার্ভার, এবং ডিজিটাল হেলথ ডিভাইস উৎপাদনেও তারা সমানভাবে আগ্রহী। অর্থাৎ ফক্সকনের বিনিয়োগ ভারতের (India) প্রযুক্তি শিল্পে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে, যা দেশকে শুধু স্মার্টফোন উৎপাদনের ক্ষেত্রেই নয়, ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে এক শক্তিশালী খেলোয়াড়ে পরিণত করবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একদিকে যেমন ভারতের (India) উৎপাদন ক্ষমতার প্রমাণ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতেও ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিচ্ছবি। চিনের বিকল্প হিসেবে ভারত এখন যে ভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছে, তা বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেবে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।