বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় খবর সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার ফের একবার ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। ইতিমধ্যেই জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের তরফে বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করবে।
এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, এই ঘূর্ণিঝড় কখন এবং কোথায় আছড়ে পড়তে পারে? এই প্রসঙ্গে জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে যে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশে। জানিয়ে রাখি যে, ইন্দো প্যাসিফিক ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার এর আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে, বর্তমানে আবহওয়ার খামখেয়ালিপনা অব্যাহত রয়েছে। আর সেই কারণেই সৃষ্টি হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের।
শুধু তাই নয়, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে এই সাইক্লোন। এমতাবস্থায়, এটি বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার আগে পশ্চিমবঙ্গেও ঝড়-বৃষ্টি ঘটাবে বলে জানা গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই সাইক্লোনটি বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম প্রান্তে এগোচ্ছে। মনে করা হচ্ছে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কুয়াকাটা এলাকায় আছড়ে পড়বে।
এমনকি, টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের বুলেটিনে জানা গিয়েছে ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে। এদিকে, উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ নিম্নচাপ আরও গভীর হয়েছে। যেটি তখন বাংলাদেশের খেপুপারা অঞ্চলের ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
তবে, ওই নিম্নচাপটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে। এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি পশ্চিমবঙ্গেও প্রভাব ফেলবে। তবে, IMD-র তরফে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো সাইক্লোন অ্যালার্ট জারি করা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মধ্য বঙ্গোপসাগরে মঙ্গলবার ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
যদিও, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বৃদ্ধি হয়ে ঝড়ের গতিবেগ ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, রাজ্যের পাশাপাশি ওড়িশা উপকূলেও রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সতর্কতা। পাশাপাশি, মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।