বাংলাহান্ট ডেস্ক : কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে (Kasba Law College) মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে যতই তদন্ত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক বিষ্ফোরক অভিযোগ। কলেজের পড়ুয়ারাই একের পর এক মুখ খুলছেন তাঁর বিরুদ্ধে। গণধর্ষণের (Kasba Law College) ঘটনা সামনে আসতেই মূল অভিযুক্তের আরও কীর্তি উঠে আসছে সামনে। মহিলাদের অসম্মান, যৌন হেনস্থারও ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে।

কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) মনোজিতের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ
কলেজের (Kasba Law College) বহু পড়ুয়ার অভিযোগ অনুযায়ী, খাতায় কলমে কলেজের প্রাক্তনী, অস্থায়ী কর্মী হলেও আলাদাই দাপট ছিল মনোজিতের। তাঁর ভয়ে নাকি তটস্থ হয়ে থাকতেন অধ্যাপকরাও। এর আগে কলেজেরই এক পড়ুয়া মনোজিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। এবার মুখ খুললেন আরো দুই পড়ুয়া।
মুখ খুললেন এক পড়ুয়া: কসবা ল কলেজের (Kasba Law College) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছেন মনোজিতের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, কলেজে ঢোকার কিছুদিনের মধ্যেই মনোজিৎ বাহিনীর জন্য ওখানকার পরিবেশ তাঁর কাছে অসহ্যকর হয়ে উঠেছিল। তিনি দাবি করেছেন, তাঁকে নাকি মনোজিৎ বলেছিলেন, ‘তোমার মধ্যে অনেক ট্যালেন্ট আছে। তুমি ইউনিয়ন জয়েন করতে পারো’। উত্তরে ওই ছাত্রী বলেছিলেন, তাঁর এসব বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই। তিনি পড়াশোনা করতে এসেছেন। তাই করবেন, তারপর বাড়ি চলে যাবেন। ছাত্রী জানান, মনোজিৎ বলেছিলেন, ‘ও ঠিক আছে, দেখে নেব’।
আরো পড়ুন : পুজোর পরেই ভোট যুদ্ধের দামামা, BJP-র ইস্তাহার প্রকাশের আগেই গুরু দায়িত্ব সুকান্তকে
নীরব কলেজ কর্তৃপক্ষ: ওই কলেজেরই (Kasba Law College) আরেক পড়ুয়ার অভিযোগ, সবকিছু দেখে শুনেও চুপ করে থাকতেন কলেজের অধ্যাপকরা। ওই পড়ুয়া বলেন, ‘ক্লাস চলাকালীন উনি (মনোজিৎ) আসতেন। ওঁর কিছু চ্যালা চামুণ্ডারা ছিল, তাঁরাও আসতেন। এসে শুধু হাতের ইশারা করতেন। টিচাররা ওখানেই দাঁড়িয়ে বলতেন, যাও তুমি, তোমাকে ডাকছে, তুমি চলে যাও। কঠোর থেকে কঠোরতর টিচাররাও কিছু বলতেন না’।
আরো পড়ুন : বার্থ সার্টিফিকেটে চাই মায়ের পদবী, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বছর ১৪-র নাবালক! কারণ জানলে হবেন থ
ওই পড়ুয়ার কথায়, ‘আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষ ওঁদের হাতেই সবটা ছেড়ে দিয়েছিলেন। উনি হর্তাকর্তা বিধাতা বলতে যা বোঝায়।’ যে হারে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে, অনেকেই দাবি করেছেন, মনোজিতের কারণে কলেজে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।