ইনস্টাগ্রামে বিকিনি পরা ছবি দেওয়ার অপরাধে কাজ খোয়ালেন খাস কলকাতার কলেজের শিক্ষিকা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে আমাদের সবার ব্যক্তিগত পরিসরের জায়গা হয়ে উঠেছে। আমরা আমাদের প্রত্যেকটি হাসি খুশির মুহূর্ত বা দুঃখের বেদনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাগ করে নিতে পারি আপনজনদের সাথে। কিন্তু সেই ব্যক্তিগত পরিসরের জায়গা কখন যে কর্মক্ষেত্রের সাথে মিলেমিশে যায় তা অনেক সময় ঠাহর করতে পারি না। ঠিক যেমনটা করতে পারেননি এক অধ্যাপিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকিনি পরিহিত একটি ছবি তিনি শেয়ার করেছিলেন বন্ধুদের সাথে। সেই ছবির কারণে তাকে হারাতে হলো শিক্ষিকার চাকরি। উত্তর প্রদেশ বা বিহারের ঘটনা নয়! এই ঘটনা ঘটেছে খাস কলকাতায়! তাও আবার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায়। এই ব্যাপারে সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো রকম মন্তব্য করতে চাননি।

অধ্যাপিকার অভিযোগ, গত বছর অক্টোবর মাসে তিনি একটি বিকিনি পরিহিত ছবি instagram প্রোফাইলে পোস্ট করেছিলেন। একটি ফটোশুটে অংশগ্রহণ করার সময়ের ওই ছবি তিনি তার ব্যক্তিগত পরিসরে ভাগ করে নেন। সেই ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের নজরে আসে। ওই পড়ুয়া তার বাড়িতে এই কথা জানালে অভিভাবকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন, “বিকিনি পরা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা একজন শিক্ষিকার পক্ষে লজ্জাজনক ও দৃষ্টিকটু!”

এই ঘটনার পরে সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ অধ্যাপিকার কাছ থেকে জবাব তলব করে। ওই অধ্যাপিকা অভিযোগ, এর পরই সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ তাকে বিশ্ববিদ্যালয় আসতে বারণ করে দেন। কাজ হারানো অধ্যাপিকা জানিয়েছেন, “এই ব্যাপারে আইনি লড়াই চলছে। যা বলার আইনি মঞ্চেই বলবো।”

এই অভিযোগের সত্যতা বা ভিত্তি জানার জন্য সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ফোন করলে এই বিষয়ে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কেউই বিশেষ মুখ খুলতে চান নি। তবে জানা যাচ্ছে এই বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে ওই অধ্যাপিকা ও সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষের মধ্যে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর