বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কমিশনের ২৫ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মঙ্গলবার রাতেই স্বমহিমায় ফিরেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি উঠল। এই দাবি নিয়ে আজ তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল রাজধানী দিল্লীতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল।
Delhi: A TMC delegation meets the Election Commission
"We are going to highlight that PM Modi & Home Minister Amit Shah are creating differences among people of different caste and creed. They are making provocative statements," TMC MP Kalyan Banerjee says pic.twitter.com/ccms1m8aZD
— ANI (@ANI) April 14, 2021
নির্বাচন কমিশনের অফিসে নিজেদের দাবি পেশ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের জানান, কেন তাঁরা নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি তুলেছেন? কল্যাণবাবু জানান, ‘নরেন্দ্র মোদী কল্যাণীর জনসভা থেকে অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস মতুয়াদের জন্য কিছুই করেনি।” কল্যাণবাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তি দিয়ে বলেন, কোনও নির্বাচনী জনসভা থেকে এভাবে জাতি নিয়ে মন্তব্য করা যায় না। একই সঙ্গে শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী জনসভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘গুন্ডা” বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত অনুগামীদের তিনি গুন্ডা বলে সম্বোধন করেছেন। ওনার এই মন্তব্যেও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হয়েছে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কীভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী এমন নিচু মন্তব্য করতে পারেন? ওনার মন্তব্য শুনে মনে হয় যে আহমেদাবাদের রকে বসে কেউ আড্ডার ছলে এই কথা বলছেন।” আরেকদিকে, অমিত শাহকে নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজবংশী এবং অন্য জাতিদের মধ্যে ভেদাভেদ করার মতো মন্তব্য করেছেন। উনি এই মন্তব্য করে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন।” তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি মণ্ডল এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলায় প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানিয়েছে কমিশনের কাছে।