বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিয়ের পর আমাদের দেশের বহু মেয়েকে এখনও শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে তা একেবারে সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গিয়েছে উত্তর প্রদেশের আগ্রায়। এক সন্তানের মা এক মহিলা সম্প্রতি তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, এবং শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি তিনি পুলিশে এফআইআর করেছিলেনকরেছিল
সেই অভিযোগে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি জানান, বিয়ের পর শুধু স্বামী নয় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তাকে নাকি তার শাশুড়িও জোরাজুরি করতেন। বাধা দিতে গেলেই চলতো অকথ্য অত্যাচার। হাতে ব্লেড চালিয়ে দিতেন শাশুড়ি। এই অত্যাচারে ক্ষত এতটাই গভীর হয়েছিল যে সেলাই করাতে হয়।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে গাজিপুর জেলার বাসিন্দা অলোক উপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিলে ওই নির্যাতিতা যুবতীর। প্রথম কয়েকদিন সবকিছু ঠিক থাকলেও, তারপর শুরু হয় ব্যাপক অত্যাচার। স্বামীর অকথ্য যৌন অত্যাচারের পাশাপাশি যৌন খিদে মেটানোর জন্য জোরাজুরি করতেন শাশুড়িও।
আরও পড়ুন: রেশন নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ! মহিলাকে জুতোর মালা পরিয়ে উচিত শিক্ষা দিলেন গ্রামবাসীরা
অস্বীকার করলেই হাতে ব্লেড চালাতেন শাশুড়ি। বাদ যায়নি ননদ-ও। অভিযোগ যুবতীর সমস্ত পোশাক কেড়ে নিয়ে ঘরে বন্দি করেও রাখা হয়েছিল। এমনকি চাপ দেওয়া হয়েছিল পণের জন্যও। যুবতী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তাঁর কোল আলো করে আসে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান।
কিন্তু তারপরেও অত্যাচার দ্বিগুণ বেড়ে যায় । শিশুটির পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে, মারধর করে যুবতীকে বার করে দেওয়া হয় বাড়ি থেকে। প্রতিবেশীরা কোনওমতে বুঝিয়ে ওই যুবতীকে বাড়িতে ফেরত পাঠান। কয়েকদিন বাদে ওই যুবতীর বাবা এসে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যায়। সব ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার নাম করে তারা আবার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে রাজি হয়। কিন্তু গত ৭ জুন তাঁরা শ্বশুরবাড়িতে কথা বলতে গেলে, আবার শুরু হয় অশান্তি। তারপরেই ওই মহিলা পুলিশে অভিযোগ জানান।