বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুই ভাইয়ের একই স্ত্রী! না, মহাভারতের দ্রৌপদীর কাহিনি নয়। এ যুগেই ঘটল এমন বিস্ময়কর ঘটনা। হিমাচল প্রদেশের শিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামে একই মহিলাকে বিয়ে (Marriage) করেন দুই ভাই। কয়েকশো মানুষ এই বিয়ের সাক্ষী হয়েছেন। উপরন্তু দুই বর এবং কনে জানান, তাঁরা স্বেচ্ছায় এমন বিয়েতে (Marriage) রাজি হয়েছেন!
দুই ভাইকে একসঙ্গেই বিয়ে (Marriage) করলেন মহিলা!
ব্যাপারটা খোলসা করেই বলা যাক। হিমাচলের বাসিন্দা দুই ভাই প্রদীপ এবং কপিল নেগি এই ‘অদ্ভূত’ বিয়েতে (Marriage) একই সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সুনীতা চৌহান নামে এক মহিলার সঙ্গে। জানা যাচ্ছে, এই দুই ভাই ‘হট্টি’ জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। হিমাচল-উত্তরাখণ্ডের অঞ্চলের এই সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন বিশেষ বিবাহ (Marriage) রীতির চল রয়েছে বলে জানা যায়। কয়েক শতাব্দী ধরে নাকি এমন ‘বহুস্বামী’ প্রথা চালু রয়েছে এই জনগোষ্ঠীতে। যদিও আধুনিকতার হাওয়া লেগে এবং শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পর এমন বিয়ে (Marriage) কমেছে। কিন্তু কোথাও কোথাও এখনও রয়ে গিয়েছে এই প্রথা। সমাজে মেনেও নেওয়া হয় তা।
স্বেচ্ছায় নেওয়া সিদ্ধান্ত: এই বিশেষ বিয়ের (Marriage) ব্যাপারে দুই ভাই জানান, তাঁরা স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেউ কোনও ভাবে জোর করেনি তাদের। প্রদীপ জানান, এই প্রথা তাঁরা যৌথ সিদ্ধান্তে পালন করেছেন। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় সরকারি দফতরে কর্মরত তিনি। অন্যদিকে কপিল জানান, তিনি বিদেশে কর্মরত। তবে স্ত্রী সুনীতার জন্য তাঁরা একসঙ্গে থাকতে চান।
আরও পড়ুন : রূপে-গুণে টেক্কা দেবে গঙ্গার ইলিশকে, কোন জাদুতে এত স্বাদ পদ্মার ইলিশে?
কী জানালেন কনে: এদিকে কুনহাট গ্রামের বাসিন্দা সুনীতা চৌহান জানান, এই প্রথা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। এই সম্পর্ককে সম্মান জানিয়ে স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন বলে জানান। উল্লেখ্য, এই বিয়েকে (Marriage) বলা হয় ‘জজদা’। এমনকি হিমাচলের রাজস্ব আইনেও এই বিশেষ প্রথার স্বীকৃতি রয়েছে। সেখানে একে ‘জোড়িদারা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : জলসার মহালয়ায় বিরাট চমক, এবারে কে হচ্ছেন দুর্গা? প্রোমোতে মিলল আভাস
বিশেষজ্ঞরা জানান, এই প্রথা মূলত তৈরি হয়েছিল পৈতৃক জমি ভাগ হওয়া থেকে আটকানোর জন্য। পারিবারিক ঐক্য, ভাইদের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রাখা এবং দুর্গম অঞ্চলে কৃষিকাজের সুবিধার জন্য এই বিশেষ প্রথা চালু হয়েছিল বলে জানা যায়।