বাংলাহান্ট ডেস্ক :লক ডাউনে(lockdown ) বাড়িতে ফিরতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এক শ্রমিক(worker)। লক ডাউনের কারণে বিহারে(Bihar) এসে পৌঁছান দীপক প্যাটেল (Dipak patel) ওরফে দিপু যিনি বিহারের চৈনপুর চিতৌনির বাসিন্দা। পুনেতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু লকডাউন চলার কারণে তিনি পুনেতে কোনও কাজ পাননি অবশেষে তিনি তাঁর বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। আর সাথে অনেক শ্রমিক ছিলেন তাই তিনি ১, ৭৯৪ কিলোমিটার রাস্তা কখনও পায়ে হেঁটে এবং কখনও ট্রাক থেকে লিফট নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। মঙ্গলবার রাতে, দীপক ১, ৬৫৫ কিলোমিটার ভ্রমণ করে গোরক্ষপুরের নওশাদ পৌঁছেছিল।
স্ত্রীর সাথে ঝামেলার পরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় দীপক
এরপর রাতে লোকালয়ের বাস স্টেশনে আশ্রয় নেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় দীপক। সেখান থেকে দীপক রাতে স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলে জানান সে বাড়িতে ফিরে আসবেন। কিন্তু ,তাঁর স্ত্রী দীপক বাড়িতে এলে করোন ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে তাকে আসতে মানা করে। আর এরপরেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা লেগে যায় । এর মাঝেই ফোন কেটে যাওয়ার কারণে তাদের মধ্যে আর কোনো কথা হয়নি । আর এই অবস্থায় কি করবে বুঝে উঠতে না পেরে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দীপক বাস স্ট্যান্ডের সামনে একজনের বাড়ির তৃতীয় তলায় উঠে একটি তোয়ালে দিয়েছে রেলিং থেকে ঝুলতে চেষ্টা করেন । এরপরেই দীপকএর আর্তনাদ শুনে কিছু সহযাত্রী এবং লোকালয়ের অন্যরা ছুটে যান এবং পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ এসে উদ্ধার করে দীপককে
পুলিশ দীপককে নিচে নামাতে গেলে দীপক ফোন চায় এরপর পুলিশ বাধ্য হয়ে তাকে ফোন দেয়। আর কনস্টেবল বীরেন্দ্র কুমার এবং কনস্টেবল রামজিৎ চৌধারের নেতৃত্বে ফাঁড়ি ইনচার্জ ভূপেন্দ্র তিওয়ারি লোকটিকে বাঁচানোর জন্য ওই বিল্ডিংয়ের উপরে ওঠে। সেখান থেকেই বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় উঠে তারা দীপককে উদ্ধার করে। পরে দীপক প্যাটেল পুলিশকে জানায় তাঁর স্ত্রী গত রাতে ফোনে বাড়িতে না আসতে বললে সে উত্তেজনা এবং রাগের বশে আত্মহত্যা করার পথ বেছে নেয়।