ডুয়ার্স থেকে পায়ে হেঁটে কালীঘাট আসছেন শংকর, কৃতজ্ঞতা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রীকে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে সুদূর ডুয়ার্স থেকে পায়ে হেঁটে কালীঘাট আসছেন এক যুবক। প্রায় ৭০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পারি দিচ্ছেন ডুয়ার্সের বাসিন্দা শংকর ভট্টাচার্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মালদহ থেকে সাইকেল চালিয়ে কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন এক ছাত্রী। শংকর বাবু অবশ্য সাইকেলের সাহায্য নেননি। তিনি পায়ে হেঁটেই দেখা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ডুয়ার্স অঞ্চলের একজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শংকর বাবু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ডুয়ার্সের মাটি নিয়ে আসছেন শংকর ভট্টাচার্য।

গত ১৫ ই জুন কালীঘাটের উদ্দেশ্যে ডুয়ার্স থেকে হাঁটা শুরু করেন তিনি। তার পরিহিত জামায় বুকের কাছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তাতে লেখা,”বিন্নাগুড়ি অঞ্চল তৃণমূলের সৈনিক।”
গত ২৬ দিন ধরে একটানা জাতীয় সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে শনিবার সন্ধ্যায় পৌঁছেছেন রানাঘাটে। সেখানে একটি সরকারি অতিথিশালায় রাত কাটিয়ে রবিবার ফের কালীঘাটের উদ্দেশ্যে হাঁটা দেন। রানাঘাট শহরের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয় শংকর বাবুকে।যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত পাল জানিয়েছেন,”আমাদের পক্ষ থেকে ওকে ভীষণভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। আমরা সরকারি লজে তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিই।”

প্রচন্ড রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কালীঘাটের উদ্দেশ্যে হাঁটছেন শংকর বাবু। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এরকম সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তার কথায়,”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ তথা তরাই ডুয়ার্স অঞ্চলে প্রচুর উন্নতি করেছেন। আমি একটি বার তার সাথে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই”। এর পাশাপাশি তিনি বলেন,”আমি হাতে করে ডুয়ার্সের মাটি নিয়ে এসেছি। উনার হাতে তুলে দেব। আরো অনুরোধ করব যেন কোনভাবেই ডুয়ার্স ভাগ না হয়।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর