বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে আধার (Aadhaar) কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। শিশু থেকে শুরু করে অ্যাডাল্ট, সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে আধার কার্ড। নাম, ঠিকানা থেকে বায়োমেট্রিক তথ্য, একজন নাগরিকের পরিচয় বহন করে আধার কার্ড।
পরিচয়পত্রের পাশাপাশি নাগরিকের যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে মজুদ রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় আধার। তবে এই আধার কার্ডের (Aadhaar Card) রয়েছে বিভিন্ন ধরন। কত রকমের আধার কার্ড হয় এবং এগুলির কাজ কী সেই সম্পর্কে জেনে নেব আজকের প্রতিবেদনে।
বিভিন্ন ধরনের আধার (Aadhaar) কার্ড:
• আধার লেটার : QR কোড সহ ইস্যু তারিখ এবং প্রিন্ট তারিখ উল্লেখিত একটি কাগজের ল্যামিনেটেড চিঠি এটি। তথ্য বা বায়োমেট্রিক তথ্যের আপডেটের প্রয়োজন হলে এই লেটার পাঠানো হয়ে থাকে।
• E-আধার : আধার কার্ডের ডিজিটাল সংস্করণ E-আধার। এই E আধারেও থাকে QR কোড যেটি অফলাইন যাচাই প্রক্রিয়ায় কাজে লাগে। নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত থাকে এই E-আধার।
আরোও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি ভবন যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি! পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার শুনানি! পরবর্তী শুনানি কবে?
• M-আধার : UIDAI কর্তৃপক্ষ দ্বারা যে অ্যাপ নিয়ে আসা হয়েছে সেটিকে M-আধার বলা হয়। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার আধার কার্ড অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এই অ্যাপে আধার নম্বর, ডেমোগ্রাফিক তথ্য এবং ছবিও দেখা যায়।
• আধার পিভিসি কার্ড : UIDAI বহনযোগ্য আধার পিভিসি কার্ড নিয়ে এসেছে। এই আধার কার্ড একটি এটিএম কার্ডের সাইজের হয়ে থেকে। তাই সহজেই মানি ব্যাগে ভরে বহন করা যায়। QR কোড, ছবি এবং ডেমোগ্রাফিক তথ্যসহ একাধিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে আধার পিভিসি কার্ডের। UIDAI-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ৫০ টাকার বিনিময়ে অর্ডার করতে পারবেন আধার পিভিসি কার্ড। কিছুদিনের মধ্যেই ডাকযোগে এই পিভিসি কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন।