কেরালার মালাপ্পুরমের হাতি (elephant) মৃত্যুর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে দেশকে। এবার হাতিদের সুরক্ষায় কড়া পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার (modi government) । দেশজুড়ে কমবেশি ২৭০০ হাতির তৈরি হবে আধার কার্ড (aadhar card)। প্রতিটি হাতির রক্ত ও মলদ্বারের নমুনা থাকবে আধার কার্ডে। এই কার্ড তৈরির কাজ করবে প্রজেক্ট এলিফ্যান্টস নামের একটি সংস্থা।
নয়াল থমাস, প্রজেক্ট এলিফ্যান্টস এর ডিরেক্টর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ডিএনএ এর ভিত্তিতে হাতিদের এই পরিচয় পত্র তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, “জেনেটিক ম্যাপিং নিশ্চিত করবে যে বন্দী হাতিগুলি কেবলমাত্র রাজ্য প্রধান বন্যজীবন ওয়ার্ডেনের কাছ থেকে সম্মতি পাওয়ার পরে অনুমোদিত ব্যক্তিদের দ্বারা রাখা হয়েছিল। সুতরাং, এটি নিশ্চিত করবে যে সমস্ত বন্দী হাতি রাজ্য বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং কোনো হত্যার ঘটনা ঘটবে না, ”
এই মুহুর্তে দেশের সবচেয়ে বেশি পোষা হাতি রয়েছে আসামে ( প্রায় হাজারের কাছাকাছি), হাতি পোষার তালিকায় দ্বিতীয় কেরালা ( ৫০০ এর বেশি) ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু (৩০০)। থমাস জানিয়েছেন, হাতিদের এই ম্যাপিং তাদের চিকিৎসা ও খাবারের ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে। পাশাপাশি, এই হাতিদের কি হারে বংশবৃদ্ধি হচ্ছে তাও জানা যাবে। দেরাদুনের Wildlife Institute of India (WII) এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে প্রজেক্ট এলিফ্যান্টস কে।
প্রসঙ্গত, প্রজেক্ট এলিফ্যান্ট ১৯৯২ সালে ভারত সরকার পরিবেশ ও বন মন্ত্রক দ্বারা বন্য এশীয় হাতির মুক্ত-জনগোষ্ঠীর জন্য রাজ্য দ্বারা বন্যজীবন পরিচালনার প্রচেষ্টাতে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছিল।