বাংলাহান্ট ডেস্ক: আমির খানের মেয়ে ইরা খান এবং নুপুর শিখরে কিছুদিন আগেই আবদ্ধ হয়েছে বিবাহ বন্ধনে। ইরা ও নুপুর গত ৩ জানুয়ারি আদালতে নিজেদের বিয়ে সারেন। তারপর বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় উদয়পুরে। তবে কোর্ট ম্যারেজের সময় বেশ ভাইরাল হয়েছিল নুপুর শিখরের পোশাক।
ভেস্ট ও হাফপ্যান্ট পরে বিয়ে করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। দ্রুত এই লুক ভাইরাল হয়ে যায় সমাজ মাধ্যমে। সমাজমাধ্যমের ব্যবহারকারীদের মধ্যে থেকে উঠে আসতে থাকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এই আবহেই আমির কন্যা ইরা ও নুপুরের বিয়েকে ‘ইসলামবিরোধী’ বলে আখ্যায়িত করলেন পাকিস্তানের এক মুসলিম মৌলবী।
আরোও পড়ুন : কপাল খুলবে SBI গ্রাহকদের! দুর্দান্ত FD স্কিম আনছে ব্যাঙ্ক, মিলবে বিরাট সুদ আর লোনের সুবিধাও
পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল পয়গাম টিভিতে একজন মুসলিম মৌলবীর সঙ্গে আমির কন্যা ইরা খানের বিয়ে নিয়ে আলোচনা করছিলেন সঞ্চালক। সঞ্চালক ইরা খান ও নুপুরের বিয়ে নিয়ে মুসলিম মৌলবীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, অত্যন্ত হতাশাজনক খবর এটি। ছেলেটি নির্দিষ্ট বরের পোশাকে বিয়ে করেনি।
আরোও পড়ুন : শীত অতীত! আজ থেকে তাণ্ডব দেখাবে বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় সতর্কতা: আবহাওয়ার খবর
বিয়েতে ভেস্ট, হাফপ্যান্ট পরে জগিং করাটা অন্যায়। মনে হচ্ছে আপনি বিশেষ সম্মান প্রদান করছেন না বিয়েটিকে। অবশ্য বলা বাহুল্য, আমির কন্যা ইরার অন্যরকম পোশাক পড়ে বিয়ে করেছিলেন বলেই তিনি উঠে আসেন খবরের শিরোনামে। এই মুসলিম মৌলবীর বক্তব্য, হিন্দু ছেলের সাথে মুসলিম মেয়ের বিয়ে শরিয়ত মান্যতা দেয় না।
শরিয়ত অনুযায়ী মুসলিম পুরুষদের ইহুদি বা খ্রিস্টান নারীদের বিয়ে করার অনুমতি রয়েছে যাদের চরিত্র ভালো। মুসলিম ছাড়াও অন্য ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করতে পারেন মুসলিম পুরুষ। আলেম নামক এই ব্যক্তিটির আরো বক্তব্য, একাধিকবার বিবাহ করেছেন আমির খান। হিন্দু পরিবারের মেয়ের সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়েছিল।
তাই এর ভিক্তিই ভুল। এই মুসলিম মৌলবীর আরও বক্তব্য, আমির খানের মতো মানুষেরা যখন অমুসলিম পরিবেশে বাস করেন তখন তারা এই রকম হয়ে যান। ধীরে ধীরে তারা সরে যাচ্ছেন ইসলাম থেকে। ভয়ে সেখানকার আলেমরাও প্রতিবাদ করতে পারেন না। হিন্দু মুসলিমের সম্মান নেই ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।