৬ টাকা পর্যন্ত জোগানোর সাধ‍্য ছিল না, কয়েকশো কোটির মালিক হয়েও পুরনো দিন মনে করে কেঁদে ভাসালেন আমির

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের (Bollywood) সঙ্গে এখন ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে নেপোটিজম (Nepotism)। স্টার কিডরাই রাজত্ব করছে ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু কয়েক বছর আগে পর্যন্তও বলিউডে ছিল খানদের সাম্রাজ‍্য। তিন খানের ছবি আসা মানে সাড়া পড়ে যাওয়া দর্শক মহলে। উন্মাদনা এখনো রয়েছে ঠিকই, কিন্তু একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে জৌলুস কমেছে খানদের, মান পড়েছে সিনেমারও।

পাশাপাশি আরো একটি কথা স্বীকার করতে হবে, তিন খান কিন্তু স্ব প্রতিষ্ঠিত সুপারস্টার। এখন তাঁরা ইন্ডাস্ট্রির সর্বেসর্বা হলেও শুরুতে জুতোর শুকতলা খুইয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করতে হয়েছে। আর কয়েক দিন পর মুক্তি পাবে আমির খানের (Aamir Khan) লাল সিং চাড্ডা। কয়েকশো কোটি টাকা বাজেটের ছবি। অথচ এমন একটা সময় ছিল যখন ৬ টাকাও জোটাতে নাভিশ্বাস উঠত তাঁর।

Aamir boycott
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ‍্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজের ছোটবেলার স্ট্রাগলের কথা তুলে ধরেন আমির। দেনায় ডুবে গিয়েছিল তাঁর পরিবার‌ আট বছর ধরে দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থা হয়েছিল সবার। এমনকি স্কুলের বেতন পর্যন্ত ঠিক করে দিতে পারতেন না আমিরের বাবা মা।

অভিনেতা জানান, তাঁদের স্কুলে শ্রেণির ক্রম অনুযায়ী বেতনের মান ধার্য ছিল। যেমন ষষ্ঠ শ্রেণিতে বেতন ছিল ৬ টাকা, সপ্তম শ্রেণিতে ৭ আর অষ্টম শ্রেণিতে ৮ টাকা। দেনার দায়ে তখন এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল তাঁদের যে ৬-৭ টাকাও মনে হত লাখ টাকার সমান‌। কোনোবারই সঠিক সময়ে টাকা জমা করতে পারতেন না আমির ও তাঁর ভাই বোনেরা। দু একবার সরাসরি বলার পর গোটা স্কুলের সামনে তাঁদের নাম ডেকে এই অক্ষমতা প্রকাশ করা হত।

সাক্ষাৎকারে ওই কঠিন সময়ের কথা বলতে বলতে চোখে জল এসে যায় আমিরের। অভিনেতার বাবা মা-ও ফিল্মি পরিবারের ছিলেন। প্রযোজক তাহির হুসেনের ছেলে আমির। চার ভাই বোনের মধ‍্যে তিনিই সবার বড়‌। কিন্তু বাবা প্রযোজক হলেও সে সময়ে নেপোটিজমের বাড়বাড়ন্ত এত ছিল না।

শিশুশিল্পী হিসাবে ১৯৭৩ সালে ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আমির। আর বড় হয়ে নায়ক হিসাবে ১৯৮৮ সালে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। নিজে খেটেই পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন আমির।

Avatar
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর