বাংলাহান্ট ডেস্ক: চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা। এই মন্ত্র জপেই বলিউডে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন আমির খান (Aamir Khan)। তিন খানের তিনি অন্যতম যার বেশিরভাগ ছবিই হিট হয়েছে। কারণ আমির নাকি খুব নিখুঁত ভাবে কাজ করেন। সেই কারণেই ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ তকমা প্রাপ্ত হয়েছে তাঁর। তবে একটা জায়গায় কিছু খুঁত রয়ে গিয়েছে আমিরের। হলিউড থেকে তাঁর টোকা ছবিগুলি ধরা পড়ে গিয়েছে দর্শকদের কাছে।
শুধু বিনোদন দুনিয়া নয়। টোকাটুকি চলে সর্বত্রই। অনেকে অনুপ্রেরিত হয়েও একই রকম কাজ করেন। আমির খানের ছবিগুলিও কোনোটি বা হলিউডের রিমেক, কোনোটি অনুপ্রাণিত। তবে তাঁর অভিনয়গুণ যে ছবিগুলিকে আরো সফল করেছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। রইল আমিরের এমনি কিছু ছবির তালিকা-
দিল হ্যায় কে মানতা নেহি (Dil hai ke manta nahi)– ১৯৯১ সালে মহেশ ভাটের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। আমিরের বিপরীতে ছিলেন পরিচালক কন্যা পূজা ভাট। এটি আসলে ১৯৩৪ এর হলিউড ছবি ‘ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট’ এর হিন্দি রিমেক।
জো জিতা ওহি সিকন্দর (Jo jeeta wohi sikandar)– মনসুর খান পরিচালিত সুপারহিট ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯২ তে। হলিউড ছবি ‘ব্রেকিং অ্যাওয়ে’র হিন্দি সংষ্করণ আমিরের ছবিটি।
বাজি (Baazi)– ১৯৯৫ এর ছবি আশুতোষ গোয়ারিকরের বাজি। আমিরের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন মমতা কুলকার্নি। এটিও হলিউড থেকে অনুপ্রাণিত। আসল ছবিটির নাম ‘ডাই হার্ড’। বাজির দ্বিতীয় ভাগে হলিউড ছবিটি থেকে প্রতিটি দৃশ্যই নকল করা হয়েছিল।
অকেলে তুম অকেলে হাম (Akele hum akele tum)– ১৯৯৫ এ আমির মনীষা কৈরালার হিট ছবিটি অস্কার জয়ী হলিউড ছবি ‘ক্রেমার ভার্সেস ক্রেমার’ থেকে অনুপ্রাণিত।
গুলাম (Ghulam)– আমিরের এই ছবিটি এখনো যথেষ্ট জনপ্রিয়। তামিলেও রিমেক হয়েছে ছবিটির। তবে জানিয়ে রাখি, ‘অন দর ওয়াটারফ্রন্ট’ ছবির সঙ্গে গুলামের চিত্রনাট্যের বেশ কিছু মিল পাওয়া যায়।
রং দে বসন্তী (Rang de basanti)– আমিরের কেরিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় ছবিগুলির মধ্যে একটি। ছবিটির মূল ভাবনা নেওয়া হয়েছে ‘জেসাস অফ মন্ট্রিল’ এবং ‘অল মাই সনস’ ছবিদুটি থেকে।
গজনি (Ghajini)– হলিউড ছবি ‘মেমেন্টো’ থেকে অনুপ্রাণিত ছিল গজনি। আবার গজনিও একই নামের তামিল ছবির হিন্দি রিমেক।
লাল সিং চাড্ডা (Laal Singh Chaddha)– জনপ্রিয় হলিউড ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’ এর হিন্দি রিমেক এটি। চলতি বছরেই মুক্তি পাওয়ার কথা আমির ও করিনা কাপুর অমিনীত ছবিটির।