বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রয়াত আমীর লিয়াকত হুসেন। পাকিস্তানের তারিখ-ই-ইনসাফ দলের প্রাক্তন আইন বিশেষজ্ঞ তাঁর খুদাদ কলোনির বাসগৃহে অজ্ঞান হয়ে যান। তড়িঘড়ি তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা যাচ্ছে, বুধবার রাত থেকেই তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল যেতে চাননি তিনি। লিয়াকতের বাড়ির তদারকি করতেন জুবিন। তিনি বলেন, আজ সকালে লিয়াকতের ঘর থেকে এক তীব্র আর্তনাদ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির সব লোক তাঁর ঘরে দৌড়ে যায়। সেখানে তাঁকে পাওয়া যায় অচৈতন্য অবস্থায়। কোন সাড়াশব্দও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর কাছ থেকে।
পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের স্পিকার পারভেজ আশরাফ জানান লিয়াকত হুসেনকে সম্মান জানাতে আজ সংসদের অধিবেশন বন্ধ থাকবে। তিনি আরও জানান আগামী শুক্রবার বিকাল ৫ঃ০০ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সংসদের কাজ কর্ম।
পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তাঁর মৃতদেহকে জিন্নাহ হাসপাতাল অথবা সিভিল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। ময়নাতদন্তের পরই তাঁর দেহকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আমির লিয়াকাতের বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর। তিনি ১৯৭২ সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। আমির লিয়াকত তিনটি বিয়ে করেছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী তৌবা আনোয়ারকে বিয়ে করেন। এরপর তার থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ২০২২ সালে ৩১ বছরের ছোট দানিয়া শাহকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের কয়েকদিন পরই ১৮ বছর বয়সী দানিয়া তার কাছে ডিভোর্স চেয়েছিলেন।
পিটিআই-তে যোগ দেওয়ার আগে লিয়াকত হুসেন এমকিউএমপি-র সদস্য ছিলেন। জেনারেল পারভেজ মুশারফের সরকারে তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। লিয়াকত হুসেনের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহাবাজ শরীফ, সিন্ধ-র মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি প্রমুখ।