বাংলাহান্ট ডেস্ক: সলমন খানের (salman khan) ভগ্নীপতি হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট সুপরিচিত আয়ুষ শর্মা (aayush sharma)। তবে ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ এর সাফল্যের পর অভিনেতা হিসাবেও তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এই নিয়ে মাত্র দুটি ছবিতে অভিনয় করলেন আয়ুষ। প্রথম ছবি ‘লভযাত্রি’ সলমনেরই প্রযোজিত ছিল। কিন্তু ছবিটি একেবারেই চলেনি বক্স অফিসে। উপরন্তু তুমুল সমালোচনা, ট্রোলেরও সম্মুখীন হতে হয়েছিল আয়ুষকে। এমনকি তাঁকে স্ত্রী অর্পিতা খানের (arpita khan) ‘কুকুর’ও বলা হয়েছিল!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনি বিষ্ফোরক মন্তব্য করেন আয়ুষ। অভিনেতা জানান, সমালোচনাকে তিনি ভয় পান না। কিন্তু পরিবারকে এর মধ্যে টেনে আনার কারণ বোঝেন না। অর্পিতা সলমনের বোন, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এতটুকুই। এমনকি স্বামীর ডেবিউ ছবিতেও কোনো ভূমিকা ছিল না অর্পিতার। তা সত্ত্বেও কেন টেনে আনা হল অর্পিতার নাম? প্রশ্ন অয়ুষের।
মুম্বইয়ের এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ‘অন্তিম’ অভিনেতা বলেন, “আমার এখনো মনে আছে, যখন আমার প্রথম ছবি মুক্তি পেল একটি বড় সংবাদপত্র লিখেছিল, ‘এরপর যদি অর্পিতা খান একটি কুকুরকেও বলিউডে লঞ্চ করতে চান তবে সলমনের সেটাও করা উচিত।’ আমার মনে হয়েছিল, ছবি সবার সামনে রয়েছে। সবাই নিজের মতামত প্রকাশ করতেই পারে। কিন্তু এর মধ্যে আমার স্ত্রীকে টেনে আনা কেন, আমি বুঝি না।”
মানুষের ভ্রান্ত ধারনা ভেঙে আয়ুষ জানান, সবাই ভাবে অর্পিতার কথাতেই নিজের ভগ্নীপতিকে বলিউডে লঞ্চ করেছেন সলমন। আসলে ব্যাপারটা একেবারেই তেমন নয়। ছবিটি প্রযোজনা থেকে শুরু করে তাঁকে ট্রেনিং দেওয়া, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে সুযোগ করে দেওয়া সবটাই করেছেন ‘সলমন ভাই’। এতে অপিতার কোনো ভূমিকা নেই বলেই স্পষ্ট জানান আয়ুষ।
তবে শুধুই অর্পিতা নয়, সলমনের প্রসঙ্গ তুলেও কটাক্ষ করা হয়েছে আয়ুষকে। তাঁর কথায়, “দুর্ভাগ্যবশত আমার জীবনটা এমনি, ছোট্ট একটা কাজ করলাম… যেমন গাড়ি কিনলাম, অমনি সকলে বলতে শুরু করল সলমন দিয়েছে। যাই করি না কেন সবই সলমনের জন্য! আমার নিজেরও টাকা আছে। আমি তো ভবঘুরে নই।” তবে এখন বিষয়টা অনেকটাই সয়ে গিয়েছে আয়ুষের।