বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। দুর্গাপুজোয় কোরান অবমাননার গুজবকে কেন্দ্র করে একের পর এক দুর্গা মণ্ডপে করা হয়েছে হামলা। ভেঙে ফেলা হয়েছে মাতের প্রতিমা। মণ্ডপ জুড়ে চলেছে তাণ্ডব। এমনকি বাদ যায়নি ইস্কনও। নোয়াখালীর ইস্কন মন্দিরে ২০০-র মতো মৌলবাদীরা বাঁশ, লাঠি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে সবকিছু তছনছ করে দেয়।
ইস্কন মন্দিরে ঢুকে শুধু ভাঙচুরই নয়, সেখানকার এক মন্দিরের সদস্যকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে মন্দির সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেয় মৌলবাদীদের দল। এই ঘটনার জেরে চারিদিকে বাংলাদেশের নিন্দা হচ্ছে। এমনকি রাষ্ট্রসংঘেও এই ইস্যু তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তাঁদের কিছুই হবে না। তবে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও কমেনি অত্যাচার।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের দুর্গা মণ্ডপ, মন্দিরে যারা হামলা করেছে তাঁদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি এও বলেছেন যে, দোষীরা যেই ধর্মেরই হোক না কেন, তাঁদের রেয়াত করা হবে না। বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ভারত থেকেও নিন্দা করা হয়েছে। একের পর এক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী এই নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন। আর এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন ইন্ডিয়ান সেকুল্যার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি।
সম্প্রতি আব্বাস সিদ্দিকির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হচ্ছে, যেখানে ওনাকে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। ভিডিওর প্রথমে আব্বাসকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তুমি যদি মনে করো, তোমার স্বাধীনতা কোরানকে অপমান করা, তোমার স্বাধীনতা ইসলামকে অপমান করা, তোমার স্বাধীনতা রসুলের গুস্তাখি করা। আমি আব্বাস সিদ্দিকি বলছি, আমারও স্বাধীনতা তোমার ধর থেকে কল্লা আলাদা করে দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।” এরপর তিনি বাংলাদেশের দুর্গা পুজো মণ্ডপে হনুমান মূর্তির সামনে কোরান রাখার ঘটনার নিন্দা করেন ও প্রতিবাদ জানান। তবে, ভিডিও’র সত্যতা আমাদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বলে রাখি, নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করার সময় আব্বাস সিদ্দিকি নিজেকে এবং নিজের দলকে প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু ওনার সাম্প্রতিক বয়ান আর পূর্বের বয়ানে ওনাকে ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী দিতে শোনা যায় নি। এর আগে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেছিলেন, আল্লাহ এমন ভাইরাস পাঠাক, যাতে দশ, বিশ ৫০ কোটি মানুষ মারা যাক। সেই সময় ওনার ওই বয়ানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।