বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক দুর্নীতি মামলায় এমনিতেই চাপে রয়েছে শাসক দল। তার মাঝেই আবার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দলীয় কোন্দল। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দলের ভেতরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ অস্বস্তি বাড়িয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) আর এবার সেই ধারা বজায় রেখে কার্যত দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে দলীয় নেতৃত্ব।
সম্প্রতি, ইসলামপুরের ১১ বারের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকা এই বর্ষীয়ান নেতা দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়ে বসেছেন। ঝামেলার সূত্রপাতের মূলে ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি পদ। একদিকে যখন আব্দুল করিম চৌধুরী নিজের পছন্দের লোককে ব্লক সভাপতি পদে বসাতে তৎপর, আবার অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে উক্ত পদে তাঁর কাছের ব্যক্তিকে বসানোর অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক।
এ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি কানহাইয়া লাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, “ইসলামপুরে ব্লক সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয় জাকির হুসেনকে। তবে পরবর্তীতে তাকে সরিয়ে আমি মেহতাব চৌধুরীকে বসালেও কয়েকজনের দ্বারা তা মানা হয়নি। ক্রমাগত বিরোধ সৃষ্টি করা হয়েছে।” এর পরই তিনি গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, “বর্তমানে পুনরায় একবার ব্লক সভাপতি পদে নিয়ে আসা হয়েছে জাকির হুসেনকে। ইসলামপুরের মানুষ বর্তমানে আতঙ্কে পড়েছেন। তবে আমি এর বিরোধ করছি। জাকের হুসেনকে দ্রুত সরানো হোক। এজন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছি। তবে যদি তাকে সরানো না যায়, তাহলে আমার উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হোক।”
উল্লেখ্য, অতীতে আব্দুল করিম চৌধুরীর বড় ছেলে মেহতাব চৌধুরীকে ব্লক সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হলেও বর্তমানে পুনরায় একবার জাকির হুসেনের ওপরই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে একাধিক অভিযোগ উঠলেও তা মানতে নারাজ জেলা সভাপতি কানহাইয়া লাল। তিনি বলেন, “গত ১৪ ই আগস্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে জাকির হুসেনকে ব্লক সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। অতীতে কয়েকটি সমস্যা থাকলেও বর্তমানে সবকিছুর সমাধান হয়ে গিয়েছে। আর কোন অভিযোগ নেই।”