বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)! কিছুদিনের অপেক্ষা মাত্র। এহেন পরিস্থিতিতে ভোটের আগে জনসংযোগ গড়ে তুলতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এক অভিনব সাংগঠনিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এবার আসন্ন পঞ্চায়েতকে পাখির চোখ করে নয়া কর্মসূচী ‘সংযোগ যাত্রা’ নিয়ে হাজির শাসকদল, তৃণমূলের নব জোয়ার। রাজ্যবাসীর সঙ্গে জনসংযোগ গড়তে আগামী দু’মাস ধরে জেলায় জেলায় ঘুরবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছে যাবেন সাধারণ মানুষের কাছে, প্রত্যন্ত গ্রামে তাঁবু টাঙিয়ে কাটাবেন রাত। আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে অভিষেক দু’মাস কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত জনযংযোগ যাত্রা করবেন তিনি। শুনবেন মানুষের মতামত। সেইসঙ্গে নিজেদের এলাকায় কাকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন আম জনতা সেকথা জানতে গোপন ব্যালটে নেওয়া হবে ভোট।
অভিষেকের এই কথা শুনেই সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ন করেন যে যদি দেখা যায় গোপন ব্যালটে কোনো এলাকার মানুষ স্থানীয় এক স্বচ্ছ সিপিএম নেতার নাম বাছছেন সেক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে? এর জবাবে অভিষেক বলেন, যদি দেখা যায় কোনো স্বচ্ছ সিপিএমেরও কাউকে মানুষ নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে চাইছেন তবে আমি তাকে প্রার্থী করার জন্য রাজি করাব। এ ব্যাপারে আমার কোনও ইগো নেই। পাশাপাশি অভিষেক এও বলেন, শুধু সিপিএম নয়, বিজেপি, কংগ্রেস যে কোনও দলের কেউ হলেও সেক্ষেত্রে অভিষেক নিজে তার সঙ্গে কথা বলবেন, তাকে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করার অনুরোধ জানাবেন।
অন্যদিকে, অভিষেকের এই বক্তব্য নিয়েও শুরু রাজনৈতিক তরজা। এই নিয়ে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, ‘এলাকার মানুষ যদি সিপিএমের কাউকে তাদের জনপ্রতিনিধি হিসাবে চান তাহলে তিনি হঠাৎ চোর-চিটিংবাজের পার্টির হয়ে দাঁড়াতে যাবেন কেন?’
শুধু তাই নয়, এরপর অভিষেককে খোঁচা দিয়ে শতরূপ বলেন, ‘যেভাবে তৃণমূল পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গণভোট নেবে বলছে এটাই যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের সময়ে করতেন তাহলে অভিষেক নিজেই ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হতে পারতেন না।’