ডায়মন্ড হারবারের ফলাফল নিয়ে পিটিশন, হলফনামা স্বাক্ষর করতে হাইকোর্টে অভিষেক, ৪ সেপ্টেম্বরে নজর

Published on:

Published on:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সকালে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জানা যাচ্ছে, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ইলেকশন পিটিশন মামলায় হলফনামা স্বাক্ষর করতে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। উল্লেখ্য, এর আগে এই সংক্রান্ত মামলায় একাধিকবার হাইকোর্টে সময় চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সশরীরে নিজেই হাজির হলেন হাইকোর্টে।

আচমকাই হাই কোর্টে অভিষেক | Abhishek Banerjee

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) ৭ লক্ষেরও বেশি ভোটেড় ব্যবধানে জয়লাভ করে রেকর্ড গড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court ) মামলা করেছিলেন ওই কেন্দ্রেরই ২০২৪ সালের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি)।

এর আগে এই সংক্রান্ত মামলায় অভিষেকের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল সাংসদ নাকি সেই নির্দেশ কার্যকর করেননি। বিচারপতি সৌগত মজুমদার ক্ষুব্ধ হয়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদকে।

আগামী ২৮ অগস্টের মধ্যে নিজের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দেওয়ার জন্য অভিষেককে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছিল এবার নির্দেশ কার্যকর না হলে আদালত এক পক্ষের বক্তব্যের ভিত্তিতে শুনানি চালিয়ে নিয়ে যাবে। এরই মধ্যে হাইকোর্টে গেলেন অভিষেক। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর।

উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে অন্য সব দলকে দশ গোল দিয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩০ ভোট পান অভিষেক। এদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অভিজিৎ দাস পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট। আর সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান পেয়েছিলেন ৮৬,৯৫৪ ভোট। এই ফলাফল সামনে আসতেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ ভোটে অভিষেক জিতলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিরোধীরা।

abhishek banerjee(2)

আরও পড়ুন: ‘বুধবারের মধ্যে অবস্থান স্পষ্ট করুন’, দুর্গাপুজোর অনুদান মামলায় রাজ্যকে কি নির্দেশ হাইকোর্টের?

প্রথম থেকেই বিজেপির অভিযোগ ছিল, কারচুপি করেছে তৃণমূল। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়েই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই ঘটনায় আগেই চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। এবার পরবর্তীতে এই মামলা কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার।