বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই নিয়ে তিনবার। ফের একবার হাইকোর্টে সময় চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) ৭ লক্ষেরও বেশি ভোটেড় ব্যবধানে জয়লাভ করে রেকর্ড গড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court ) মামলা করেছিলেন ওই কেন্দ্রেরই ২০২৪ সালের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি)। সেই সংক্রান্ত মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে।
হাইকোর্টে সময় চাইলেন অভিষেক | Abhishek Banerjee
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা উঠলে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বক্তব্য জানানোর জন্য কিছুটা সময় চেয়ে নেন। আদালতে অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার মক্কেল চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন। তাই আরও কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, এদিন হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছে, আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়। আগামী ১৯ আগস্ট, ২০২৫ শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে। তার আগেই অভিষেককে উত্তর জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে এটিই শেষ সময়সীমা। এদিন এই সংক্রান্ত বিষয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন মামলাকারী বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি)।
সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ নাগরিক, ওর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো বিজেপির প্রার্থী এবং এই কেসের (EP-5-2024) আবেদনকারী হিসেবে শুধুই জানতে চেয়েছিলাম, তাঁর নির্বাচনী জয় সত্যিই কি গণতান্ত্রিক রায় ছিল, নাকি সেটি ছিল পরিকল্পিত জালিয়াতি ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে অর্জিত? এই প্রশ্নের উত্তর যদি সহজ হয়, তবে এক বছর পেরিয়েও লিখিত জবাব কেন প্রস্তুত নয়?’
উল্লেখ্য , গত লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে অন্য সব দলকে দশ গোল দিয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩০ ভোট পান অভিষেক। এদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অভিজিৎ দাস পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট। আর সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান পেয়েছিলেন ৮৬,৯৫৪ ভোট। এই ফলাফল সামনে আসতেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ ভোটে অভিষেক জিতলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিরোধীরা।
প্রথম থেকেই বিজেপির অভিযোগ ছিল, কারচুপি করেছে তৃণমূল। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়েই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই ঘটনার প্রায় এক বছর পর এবার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল হাইকোর্ট।