মতুয়া ইস্যুতে অস্বস্তি! বনগাঁ-দমদমে সংগঠনের কোন্দল মেটাতে জেলাওয়াড়ি বৈঠকে অভিষেক

Published on:

Published on:

Abhishek Banerjee holds key district meeting amid Matua tensions

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনৈতিক অস্বস্তির আবহে ফের জেলাওয়াড়ি বৈঠকে বসলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার ক্যামাক স্ট্রিটের কার্যালয়ে বনগাঁ, দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন তিনি। মতুয়া ইস্যুতে দলের ভিতরে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, তা মেটাতেই এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বনগাঁ এবং দমদম-ব্যারাকপুর, এই দুই সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। বিরোধী শক্তির এই প্রভাবই তৃণমূলের ভিতরে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তৈরি করে বলে মত বিশ্লেষকদের। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বৈঠকে তাই মূল ফোকাস ছিল কীভাবে ভিন্নমত সামলানো যায় এবং সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ঐক্য বজায় রাখা যায়। অনেকের মতে, দল যত বড় হয়, মতভেদও বাড়ে। এবার সেই ভিন্নমতের ভিতরেও ঐক্যের বার্তা দিতে চাইলেন অভিষেক।

সাম্প্রতিক সময়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের এক মন্তব্য মতুয়া সমাজকে ব্যথিত করেছে। সেই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূলের ভিতরে চাপা অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। বনগাঁর সাংগঠনিক জেলা মূলত মতুয়া প্রভাবিত এলাকা হওয়ায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বৈঠকে এদিন এই ইস্যুই ছিল মুখ্য আলোচ্য বিষয়। দলের অন্য সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন মতুয়া মহাসঙ্ঘ সরাসরি মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠায়। তারা মহুয়ার কাছ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করেছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের বৈঠক যে কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।

কোন্দল রুখতে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বার্তা

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির প্রভাবিত এই এলাকায় তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে না পারলে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল মতভেদ মিটিয়ে কোন্দল রোধ করা। দলের তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কারও ব্যক্তিগত মত বা ক্ষোভ যেন সংগঠনের শক্তিকে দুর্বল না করে।

Abhishek Banerjee holds key district meeting amid Matua tensions

আরও পড়ুনঃ আদালতের নির্দেশ মানল ফেডারেশন, তারকাখচিত তালিকা জমা পড়ল হাই কোর্টে

সব মিলিয়ে, মতুয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দর অস্বস্তি চরমে উঠলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই বৈঠক দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার এক কৌশলগত প্রয়াস বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন দেখার বিষয়, তাঁর বার্তা কতটা কার্যকর হয় এবং মতুয়া প্রভাবিত এলাকায় তৃণমূল কতটা মসৃণভাবে সংগঠন চালাতে পারে।