বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে সোমবার বসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার নেতৃত্বদের সঙ্গে কথা বলার ধারাবাহিকতার অংশ এই বৈঠক। রাজনৈতিক মহলের নজর এবার মূলত ডেবরার ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মুখোমুখি সাক্ষাতে। কারণ, নতুন দল গঠনের হুমকি দেওয়ার পর এই প্রথম তারা এক টেবিলে বসতে চলেছেন।
মুখোমুখি হুমায়ুন-অভিষেক (Abhishek Banerjee)
উত্তরের চার জেলার সঙ্গে বৈঠক সারার পর এবার অভিষেক (Abhishek Banerjee) বসবেন উত্তর দিনাজপুর, বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদের সাংগঠনিক নেতৃত্বদের সঙ্গে। এই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন হুমায়ুন কবীর-সহ তিন জেলার দশজন বিধায়ক। ১৫ অগস্টকে ডেডলাইন হিসেবে ঘোষণা করার পর হুমায়ুনের কাছে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। যদিও তিনি আগেই বলেছেন, মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীক নয়, বরং মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও নদিয়ার কিছু অংশ নিয়ে আলাদা দল গঠন করতে পারেন।
বৈঠকে উত্তর দিনাজপুরের বারংবার চোখে পড়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও উঠতে পারে। রাজনৈতিক মহল বলছে, বহরমপুর নিয়ে সাংগঠনিক পরিকল্পনায় নতুন দিশা দিতে পারেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। হুমায়ুন অবশ্য জানিয়েছেন, দশদিন আগেই বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছেন, তাই না যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাঁর কথায়, নেতৃত্ব তাঁর সম্মান বজায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ‘বিদ্রোহী’ তকমা ও ১৫ অগস্টের পর দল খোলার ইঙ্গিত নিয়ে তিনি মুখ খোলেননি।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরু থেকেই অভিষেক (Abhishek Banerjee) সাংগঠনিক বৈঠকের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। এর আগে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও মালদহের নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর ও জঙ্গিপুরের বৈঠক ইন্ডিয়া ব্লকের মিটিংয়ের কারণে পিছিয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ আদিবাসী যুবককে মারধরের জেরে উত্তাল বীরভূম, অভিযোগ তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে
উল্লেখ্য, ১৫ অগস্টের আগে এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। অভিষেক (Abhishek Banerjee) কি হুমায়ুনের বিদ্রোহ ঠেকাতে পারবেন, নাকি নতুন সমঝোতার রাস্তা খুলবে, সেই উত্তর মিলবে বৈঠক শেষে। আপাতত রাজ্যের নজর ক্যামাক স্ট্রিটের এই সাক্ষাতেই।