বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা তৃণমূলের শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দলেরই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জানা গিয়েছিল, ঘনিষ্ঠমহলে তিনি বলেছেন, ‘আদালত একবার পুলিশকে দায়িত্ব দিক। ১০ দিনের মধ্যে শেখ শাহাজাহান গ্রেফতার হবে’। আর এবার শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে ফের অভিষেক বল ঠেললেন সেই হাইকোর্টের দিকেই।
এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘শেখ শাহজাহানকে রাজ্য প্রশাসন বা তৃণমূল আড়াল করছে না। যদি কেউ আড়াল করেই থাকে তা হল বিচার ব্যবস্থা।’ যেখানে তৃণমূলের শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে ফুঁসছে সন্দেশখালি সহ গোটা বাংলা, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের দাবি, বিচার ব্যবস্থার জন্য শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
অভিষেকের কথায়, ‘আদালতে রাজ্য প্রশাসন স্থগিতাদেশ চায়নি। চেয়েছে ইডি। রাজ্য প্রশাসনের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত প্রশাসনের হাত বেঁধে রাখলে শাহজাহানকে কীভাবে গ্রেফতার করা যাবে?’ অভিষেকের সাফ কথা, ‘শেখ শাহজাহানকে যদি কেউ গার্ড করে থাকে সেটা বিচারব্যবস্থা করছে। জুডিশিয়ারি স্টে তুলে দিক, তারপর যদি পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারে, তখন আমাকে এসে বলবেন।’
এই বিষয়ে বলতে গিয়ে জেলবন্দি বালুর কথা উঠে আসে অভিষেকের মুখে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেশখালির উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান নথিভুক্ত হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাহলে শেখ শাহজাহান কে?’
আরও পড়ুন: কনফার্ম হয়ে গেল ডেট! এই দিন ফের বাড়ছে DA, কত শতাংশ? জানলে খুশিতে লাফাবেন
‘ইডিকে বছরের পর বছর, দীর্ঘ সময় দেওয়া হয়। আর পুলিশকে ১৫ দিন সময় দেওয়া যায় না? এই বৈষম্য কেন?’ ঠিক এমনই মন্তব্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় তারাই এফআইআর করে। ওই ঘটনায় সিট গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডি আপিল করে রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চায়। সেই স্টে আর্জি মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ৬ মার্চ শুনানি রয়েছে। পুলিশ কীভাবে গ্রেফতার করবে?’