বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও ইতিমধ্যেই আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। চলছে পায়ের তলার মাটি শক্ত করার প্রস্তুতি। ভোট মানেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কাছেই লড়াই। শাসকদলের লড়াইটা অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখার। আর বিরোধীদের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার। সব দলেই তোড়জোড় চললেও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সর্বাধিক প্রস্তুতি পরিলক্ষিত হচ্ছে শাসকদলের ক্ষেত্রেই।
এই যেমন ভোট পূর্বে মানুষের রায় শুনতে টানা দুমাসের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সুদূর উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচি। আর তার শুরুর দিনেই দলনেতা স্পষ্ট করে দিলেন, ভোটে কোনও সন্ত্রাস চলবে না। আর একমাত্র ভাল প্রার্থী থাকলেই তা সম্ভব।
সোমবার অভিষেকের নবজোয়ারের যাত্রা শুরু হয় কোচবিহার জেলা থেকে। একাধিক কর্মসূচী নিয়ে সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবেন তিনি। শুনবেন সমস্যার কথা, সাধ্য মতো করবেন তার সমাধান। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। সেখানেই পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতবর্ষে এরকম কোনও কর্মসূচি আগে কেউ করেননি। আমি বরাবর বলি রক্তপাতহীন ভোটের কথা। কিন্তু একমাত্র ভাল প্রার্থী হলেই সেটা সম্ভব।”
প্রসঙ্গত, এবার পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও বিশেষ অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন অভিষেক। নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ের ভার আমজনতার হাতেই ছেড়েছেন অভিষেক। আর ভালো প্রার্থী থাকলে সংঘর্ষেরও কোনো কারণ নেই বলেই মত তার। ফলে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন রক্তপাতবিহীন হবে বলেই আশাবাদী তিনি।
পাশাপাশি ভাল মানুষ যাতে রাজনীতিতে আসেন, সেই কারণেই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন বলেও জানান অভিষেক। তার কথায়, “কথা হবে সকলের সামনে। মানুষ ঠিক করে নেবেন কে তাদের নেতৃত্ব দেবেন।” এরপর এদিন বিজেপিকে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ বলে আলাদা কিছু নেই। যা আছে সেটা গোটাটাই বাংলা।”