বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাহাড়ী রাজ্য মেঘালয়ে (Meghalaya) আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। সে রাজ্যে দলের পতাকা গাড়তে উদ্যত তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। পূর্বেই সে রাজ্যে সর্বপ্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল জোড়া ফুল শিবির। এবার মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মাধ্যমে প্রকাশ পেল ইস্তেহার (Manifesto)। দলের ইস্তেহারে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে মেঘালয়ের স্থানীয় বিষয়গুলিকে। পাশাপাশি পূর্ব প্রতিশ্রুতি মত বাংলার অনুকরণে বেশ কিছু প্রকল্প যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী চালু করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে ইস্তেহারে।
দলের ইস্তেহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেখানের কৃষক ও কৃষিজাত পণ্যের ওপর। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করার উল্লেখ রয়েছে। রয়েছে মহিলা ও শিশুদের জন্য হাসপাতাল গড়ার প্রতিশ্রুতিও। জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও। সাথেই সামাজিক প্রকল্পগুলির আওটায় পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, WE card ও MYE Card পরিষেবারও উল্লেখ রয়েছে ইস্তেহারে।
এছাড়া যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রে স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি সহ নানা পরিকল্পনা গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে।
এদিন নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা একটা বই নয়। যেখানে ১০টা পয়েন্ট শুধু লিখে রাখা আছে। এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর এমরা এটা করেই দেখাবো। আমাদের মিশন মেঘালয়ে রাজ্যের মানুষের জন্যেই কাজ করার কথা উল্লেখ আছে। সাধারণ মানুষের কথা শুনেই কাজ করা হবে। সাধারণ মানুষের বিরোধী হবে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তৃণমূল স্তরের মানুষের সাথে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তাঁর সংযোজন, “বিরোধীরা বলছে, আমরা নাকি বহিরাগত দল। আমরা নাকি মেঘালয় সম্পর্কে কিছু জানিনা। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যাঁরা আমাদের চ্যালেঞ্জ করছেন, তারা মেঘালয় নিয়ে কোনও ভিশন প্রকাশ করতে পারেননি। আমি কোন রাজনৈতিক দলের নাম নিচ্ছি না। কে কী করেছেন রাজ্যের জন্য তা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। আমরা একমাত্র দল যাঁরা শুধু কথা বলে থেমে থাকিনা। আমরা কাজটাও করি।”
অভিষেক আরও বলেন, “আমার কথা একটাই যা এখানে বলেছি, তাতে সরকারে আসলে আমরা ১০০ দিনে এই কাজ করে দেখানো হবে। অনেকের প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যে কাজ করব বলছি, আর্থিক সাহায্য করছি, তাতে আমাদের কাছে এত অর্থ আসবে কোথা থেকে? এই রাজ্যেই অর্থ আছে। যার অধিকার আছে এই রাজ্যের মানুষেরই। আমরা সেটি পাইয়ে দিতে আমরা সচেষ্ট।এখানে গত ৫ বছর ধরে একটা অপদার্থ সরকার চলছে।”