‘এ কিসের আন্দোলন?’, কুড়মিদের হামলা নিয়ে কড়া বার্তা অভিষেকের! দিলেন কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অবশেষে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এ কীসের আন্দোলন’! জঙ্গলমহলে কুড়মিদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক বার্তা দিলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, আদিবাসী কুড়মি সমাজের মাথায় যাঁরা রয়েছে, তারা বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করবেন, আজকের ঘটনার সঙ্গে তাঁরা  আছেন কিনা। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি স্পষ্ট না করেন, তাহলে আমরা যা পদক্ষেপ করার আমরা করব।’

কী নিয়ে সমস্যা? জানা যাচ্ছে, সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কুড়মি  সম্প্রদায়ের মানুষ। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার পর এবার ঝাড়গ্রামে। যাত্রাপথে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক। সঙ্গে এবার মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ভাঙচুর, তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়! কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পুলিস সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিন ঝাড়গ্রামের লোধাশুলির সভার মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, আমি আসার সময়ে কীভাবে কুড়মি আন্দোলনের নাম করে, কিছু লোক, বর্বরতা ও হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই বীরবাহা হাঁসদা এখানে বসে আছেন, একজন এসটি মেয়ে, রাজ্যের মন্ত্রী, তাঁর কনভয়ে হামলা করেছে। সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ কীসের আন্দোলন! আন্দোলন সবসময় শান্তিপূর্ণ হয়। আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি, রাহাজানি, মস্তানি কোনওদিন হয় না’।

abhishek 2

এরপরই অভিষেক বলেন, ‘আপনাদের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষ বলছে, জামা-কাপড় খুলে নেব। আর বিজেপি নেতাগুলি  বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে, তখন আপনাদের কী হয়! এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক নেতা রয়েছে, কর্মী রয়েছে, আমরা সব জানি। এই বিক্ষোভের নাটক, এটা কারা সংগঠিত করেছে। এর পিছনে কে রয়েছে, খুঁজে বার করবই।’

এরই সঙ্গে অভিষেক আরও বলেন, ‘আমরা কোনওররক কোনও হিংসার ঘটনাকে সমর্থন করি না। যাঁরা আন্দোলনের নামে, জল্লাদের উল্লাস মঞ্চ করে,  এই ঝাড়গ্রামে আবার অশান্তি ফিরিয়ে আনতে ফিরিয়ে আনতে চাইছে, ঝাড়গ্রামে মানুষ শপথ নিন, এদের ক্ষমা করবেন না।’

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে গড় শালবনি এলাকায় অবরোধ শুরু করেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই এলাকা দিয়ে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। অভিষেকের গাড়ির পরেই ছিল মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, বিনপুরের বিধায়কের দেবনাথ হাঁসদার গাড়ি। অভিযোগ, বীরবাহা এবং দেবনাথের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। বীরবাহার গাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে। পুলিসের গাড়ি লক্ষ্য করেও পাথর বৃষ্টি করা হয়। বাইকে থাকা তৃণমূল কর্মীদের উপরেও লাঠি, বাঁশ হাতে হামলা চালানো হয় বলেও জানা যাচ্ছে।

পুলিস জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। বীরবাহা হাঁসদার গাড়িচালকের চোখে আঘাত লাগে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন শাসক দলের মন্ত্রী-বিধায়কেরা। বীরবাহা হাঁসদার দাবি এই ঘটনার দায় নিতে হবে কুড়মিদেরই। হামলার বেশ কিছুক্ষণ পর মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবং বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা-সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের গজা শিমুলে অধিবেশনের উদ্দেশে রওনা দেন।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর