বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৫ এর ৪ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে তৃণমূলের মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কষিয়ে চড় মেরেছিল এক যুবক। আর ঠিক ৬ বছর পর পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেককে চড় মারা যুবককে পাশে বসিয়ে ভিডিও বানিয়ে অভিষেককে খোঁচা দিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা কনিষ্ক পন্ডা। ফেসবুকে চড় মারার ভিডিও পোস্ট করে কনিষ্কবাবু লেখেন, ‘৬বছর আগের কথা!!! মনে পড়ল ভাইপো?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারা সেই যুবককে পাশে বসিয়ে কনিষ্ক পন্ডা বলেন, ‘ভাইপো চিনতে পারছ? এই সেই আমার ভাই, সেদিন তোমার গালে থাপ্পড় মেরেছিল। এবার তোমাকে মারবে না। তবে একটা কথা বলি ভাইপো, ওই মদন মিত্র আর ওই যে তোমার কল্যাণ ব্যানার্জী যেই কথাটা বলছে না, সেই কথাটা আবার বললে এই যে ভাই আছে মেদিনীপুরের, এরকম কয়েকশ ভাই আছে তাঁদের তৈরি করে দিয়েছি। সাবধান ভাইপো।”
বলে রাখি, ৬ বছর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারা ওই যুবকের নাম দেবাশিস আচার্য। এখন সে বিজেপির যুব নেতা। এর আগে বি.টেক পাশ করা দেবাশিস রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সাথে যুক্ত ছিল।
২০১৫ এর ৪ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীতলায় একটি সভা ছিল তৃণমূলের। সেই সভার মুখ্য বক্তা ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঞ্চে উঠে কয়েকটা ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা অখিল গিরি সহ অনেকেই। আর সেই সময় দেবাশিস ছবি তোলার অছিলায় অভিষেকের একবারে সামনে চলে যায়, আর তাঁকে কষিয়ে চড় মারে। এমনকি ঘুষিও মারে সে।
এরপর তৃণমূল কর্মীরা দেবাশিস ধরে বেধড়ক মারধোর করে। এলাকা জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তাঁদের উপর ইট ছোঁড়া হয়। তমলুকের SDPO সমেত ১২ জন পুলিশ কর্মী ওই ঘটনায় আহত হন। দেবাশিসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুকের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে এখন সে দিব্যি আছে। আর ছয় বছর পর শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতার দৌলতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও ভাইরাল সে।