বাংলাহান্ট ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের তরফে ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। সেই তথ্যকে সামনে রেখেই বিজেপির ‘এক কোটি অনুপ্রবেশকারী’ দাবির পালটা কটাক্ষ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার তিনি মন্তব্য করেন, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যই বিজেপির দীর্ঘদিনের প্রচারিত মিথ্যেকে ফাঁস করে দিয়েছে। এর জন্য বিজেপির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
বিজেপিকে আক্রমণ অভিষেকের (Abhishek Banerjee)
মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসা খসড়া ভোটার তালিকা থেকে দেখা গিয়েছে, মৃত্যু, স্থানান্তর সহ বেশ কিছু কারণে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে গোটা রাজ্যে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তথাকথিত ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা ১.৮৩ লক্ষ। কিন্তু বিজেপি নেতাদের বারংবার দাবি করা এক কোটি রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর ধারেকাছেও নেই।

অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে খোঁচা: অভিষেকের কথায়, এতদিন যারা বলছিলেন, বাংলায় ১ কোটি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে, আজ তাদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিজেপির মিথ্যে নির্বাচন কমিশনই ফাঁস করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সমস্ত বাঙালিকে বাংলাদেশি বশে দাগিয়ে দেওয়া, এটা লজ্জাজনক। এখনই উচিত এই অপপ্রচার বন্ধ হওয়া বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বিজেপির।
আরও পড়ুন : কুয়াশার কারণে চতুর্থ T20 ম্যাচ বাতিল হতেই ভুল বুঝতে পারল BCCI? এবার নেওয়া হবে বড় পদক্ষেপ
এসআইআর নিয়ে মন্তব্য: এখানেই না থেমে অভিষেক আরও বলেন, এসআইআর প্রক্রিয়া এখনও চূড়ান্ত নয়। দাবি এবং আপত্তি জানানোর জন্য এখনও প্রায় ৪৫ দিন সময় রয়েছে। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেন অভিষেক।
আরও পড়ুন : ট্র্যাক বদলে দুর্ধর্ষ কামব্যাক ‘পরিণীতা’র, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জি বাংলা, কী পরিস্থিতি জলসার?
অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও কটাক্ষ শানাতে ছাড়েননি অভিষেক (Abhishek Banerjee)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, বাংলায় যদি সত্যি অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে, তবে তার জবাব অমিত শাহকেই দিতে হবে। কারণ সীমান্ত নিরাপত্তা সম্পূর্ণ ভাবে কেন্দ্রের অধীনে। উল্লেখ্য, এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, এ রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা রয়েছে। তাদের ভোটেই বদলে যাচ্ছে নির্বাচনের ফল। এবার পালটা কমিশনের তথ্য নিয়ে অভিষেকের কটাক্ষে চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।












