আমার বদলে মালিয়া, মোদীর উপর নজর রাখলে ৩০ কোটি বেঁচে যেত! দুবাই থেকে তোপ অভিষেকের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বারবার তাঁকে নিয়ে টানা হেঁচড়া করেছে ইডি-সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ জেরাও করা হয় তাঁকে। এমনকী হেনস্তা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতামন্ত্রীকেও। দুবাইয়েও তাঁর উপর কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেখান থেকেই মোদী সরকারকে রীতিমতো তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি দুবাইয়ে গেছেন চোখের চিকিৎসা করাতে। মঙ্গলবার সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।

ঠিক কী ঘটেছে সেখানে?‌ বাংলা পক্ষের নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায় একটি ট্যুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দুবাইয়েও বাংলার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নজরদারি করছে। এই বিষয়ে তারা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকারকেও চর নিয়োগ করার অনুরোধ করেছে। বাংলার একজন সাংসদের উপর নজর রাখার অর্থ দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করা।

এরপরই গর্গের ওই টুইটকে রিটুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‌আমার উপর নজর রাখার মতো নরেন্দ্র মোদী যদি একই নিষ্ঠা, উদ্যম দেখিয়ে বিজয় মালিয়া আর নীরব মোদীর উপর নজর রাখতেন তাহলে দেশের মানুষের ৩০ হাজার কোটি টাকা বাঁচত। তারা ভুলে যাচ্ছে যে, আমার উপর তারা নজর রাখতে পারে, কিন্তু মানুষ তাদের উপর নজর রাখছেন।’‌

উল্লেখ্য, চোখের চিকিৎসা করাতে দুবাই গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বাধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তখন সাংসদকে মামলা করতে হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ওই মামলায় হাইকোর্টে ইডি বলেছিল, কয়লা পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এই সময়ে দুবাইয়ে রয়েছেন বলে তাদের কাছে খবর আছে। সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিল, অভিষেক দুবাইয়ে গিয়ে বিনয় মিশ্রের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু আদালত সেসব বিষয় খারিজ করে দিয়েছিল। সম্মতি দেওয়া হয় তাঁর সফরে। তখন বাধ্য হয়ে দুবাইতে নজরদারি রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। দলীয় সূত্রে খবর, অভিষেক দুবাই থেকে কলকাতায় ফিরেই ১৬ জুন মেঘালয়ে যাবেন।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর