বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠন গুছোতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর শিলিগুড়ি ও কাঁথি, দুই জেলায় দুর্বল সংগঠন ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দলের প্রধান মাথাব্যথা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) দলের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন।
বাঙালি অস্মিতাকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামার বার্তা দিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে তৃণমূলের সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই টালমাটাল। মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে দলের কাউন্সিলরদের সম্পর্কের অবনতি এবং পুরনো গৌতম বনাম পাপিয়া দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি আসনেই হেরেছিল তৃণমূল। ২০২৪ লোকসভা ভোটেও শিলিগুড়ি পুরনিগমের কোনো ওয়ার্ডে জয় পায়নি। এই প্রেক্ষিতে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি-সহ গোটা উত্তরবঙ্গে বাঙালি অস্মিতাকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামতে হবে।
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথিতে আরও বড় সমস্যা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জেলা সভাপতি উত্তম বারিক ও প্রবীণ নেতা অখিল গিরির দ্বন্দ্বে জেরবার স্থানীয় সংগঠন। লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি আসনে পরাজয়ের পর এবার মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য ‘আমার পাড়া আমার সমাধান’ কর্মসূচি জোরদার করার নির্দেশ মিলেছে। বৈঠকের পর অখিল গিরি জানান, দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও প্রকাশ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালের আগে সব দ্বন্দ্ব ভুলে একযোগে কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে পৌঁছনো এবং জনমুখী কর্মসূচি বাড়ানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিলিগুড়ি ও কাঁথির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সংগঠনের দুর্বলতা কাটাতে না পারলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে সংগঠন গোছাতে ব্যস্ত বিজেপি, কমিটি নিয়ে বৈঠকে শমীক, চললেন দিল্লি
লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর এবার বিধানসভা ভোটের আগে নতুন করে সংগঠন চাঙ্গা করার লড়াই শুরু করেছে তৃণমূল। শিলিগুড়ি ও কাঁথির নেতাদের সঙ্গে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বৈঠক সেই প্রয়াসেরই অঙ্গ। তবে বার্তা স্পষ্ট যে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, ঐক্যই হবে ২০২৬ নির্বাচনে তৃণমূলের টিকে থাকার একমাত্র হাতিয়ার।