বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজিকর কান্ডের পর রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে ব্যাপকভাবে। চিকিৎসক মহলের সাথে রাজ্যের সম্পর্কেও পড়েছে ভাঁটা। এবার এই চিকিৎসকদের সাথেই ‘সেতুবন্ধন’ কর্মযজ্ঞ করে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে এক মাস ব্যাপী স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত ‘কর্মযজ্ঞ’ শুরু করতে চলেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
অভিষেকের (Abhishek Banerjee) ‘সেতুবন্ধন’-কর্মসূচিতে ১২০০ চিকিৎসক
শনিবার এই কর্মযজ্ঞ উপলক্ষেই আমতলার আমতলার ‘সমন্বয়’ প্রেক্ষাগৃহে চিকিৎসক সম্মেলনে (ডক্টর্স সামিট) যোগ দেবেন তিনি (Abhishek Banerjee)। সূত্রের খবর শনিবারের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন ১২০০-রও বেশি চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যেই থাকবেন ৩০০-র বেশি জুনিয়র ডাক্তাররাও। এছাড়া প্রায় ৩০০ জন মহিলা চিকিৎসকও থাকবেন শনিবারের কর্মসূচিতে।
প্রসঙ্গত আরজিকরের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের পর রাজ্যজুড়ে দেখা গিয়েছিল সরকার বিরোধী মনোভাব। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজের সর্বস্তরে। যদিও এখন সেই আন্দোলন এখন অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে। তাই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মোতে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অভিষেকের এই কর্মসূচি চিকিৎসকদের সঙ্গে নতুন করে ‘সেতুবন্ধন’ বা ‘সেতু মেরামতি’র কাজ করতে চলেছে।
যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের সাতটি বিধানসভা এলাকায় গোটা জানুয়ারি মাস জুড়ে স্বাস্থ্যশিবির হবে। জানা যাচ্ছে প্রত্যেক বিধানসভায় ১০ দিন করে এই স্বাস্থ্যশিবির করার কথা বলে হয়েছে। সেই কারণেই এই বিশেষ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে! আজ কোন কোন জেলা ভিজবে? এক নজরে আবহাওয়ার খবর
অনেকে আবার অতীত মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেকের এই কর্মসূচিকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরও একটি ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ বলে অভিহিত করছেন। প্রসঙ্গত ২০২১ সালে ক্রনাকালে বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ে প্রথম এই ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’-এর কথা শোনা গিয়েছিল অভিষেকের মুখে।
এর আগে চিকিৎসকদের নিয়ে তৃণমূল সেনাপতি অভিষেককে এমন কোনো বৈঠক কিংবা কর্মসূচি করতে দেখা যায়নি। আর তাই আরজি কর-কান্ডের পরবর্তী পর্যায়ের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে এই উদ্যোগ। যদিও অনেকেই এই কর্মসূচির সাথে আরজি করের ঘটনা এবং তৎপরবর্তী চিকিৎসক আন্দোলনের যোগসূত্রের কথা মানতে নারাজ।
এপ্রসঙ্গে দলের এক প্রবীণ নেতা বলেছেন, ‘এ হল সমান্তরাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি করা। যার ফলে সরকারের হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার অবকাশ থাকছে।’ অন্যদিকে অভিষেক-ঘনিষ্ঠদের পাল্টা দাবি, ‘সাংসদ হিসাবে যে কাজ অভিষেক তাঁর কেন্দ্রে করছেন, সেই কাজ যদি রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে হয়, তা হলে মানুষই উপকৃত হবেন।’