বাংলাহান্ট ডেস্ক: ষড়যন্ত্রের জন্য বড়পর্দা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। ছোটপর্দাতেই নিজের অভিনয় প্রতিভা উজাড় করে দিয়েছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। কিন্তু শেষবার বড়পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ হয়েছিল এক সময়কার সুপারস্টারের। দীর্ঘদিন বড়পর্দা থেকে দূরে থেকেও সেই ছবিতে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু দেখে যেতে পারলেন না অভিষেক।
দু সপ্তাহের বেশি হয়ে গিয়েছে পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। শেষবার পরিচালক রানা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পঞ্চভূজ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে এখনো মুক্তি না পেলেও বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি। পোর্ট ব্লেয়ার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন অভিষেক।
কিন্তু আফশোস! সেই পুরস্কার হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে পারলেন না অভিনেতা। শনিবার নন্দনে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধার্ঘ দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। পঞ্চভূজ ছবির ট্রেলার ও গানও লঞ্চ হয় সেদিন। বাবার পাওয়া সেরা অভিনেতার পুরস্কার গ্রহণ করে প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে সাইনা।
স্বাভাবিক ভাবেই এমন একটি দিনে আবেগ চেপে রাখতে পারেননি প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী সংযুক্তা। তিনি বলেন, অভিষেকের অনুরাগীরাই তাঁকে প্রতি পদে পদে অনুরেরণা মনের জোর যোগাচ্ছেন। মেয়ে ডলকে বড় করার অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। এভাবেই ভবিষ্যতেও তাঁর পাশে থাকুন সবাই। তিনি ঠিক ডলকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলবেন, বলেন সংযুক্তা।
এরপর অভিষেকের ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি বড় বার্তা দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘অভিষেকের শেষ ছবি ‘পঞ্চভূজ’ এর জন্য পোর্ট ব্লেয়ার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার সম্মান পেয়েছে। সেই পুরস্কার বাড়ি নিয়ে এলাম। আমার জীবনে সর্বক্ষণ অভিষেকের উপস্থিতি অনুভব করি।’
সংযুক্তা আরো জানিয়েছেন, প্রয়াত স্বামীর মোবাইলে একটি ফোন নম্বর খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ করেই রানা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নম্বরে ডায়াল করে বসেন তিনি। তখনো সংযুক্তা জানতেন না যে তিনিই অভিষেকের শেষ ছবির পরিচালক। ফোন পেয়েই রানা তাঁকে সবটা জানান আর অভিষেকের হয়ে পুরস্কারটাও নিয়ে যেতে বলেন।
সংযুক্তার কথায়, অদৃশ্য থেকে অভিষেকই যেন তাঁকে দিয়ে পরিচালকের নম্বরটি ডায়াল করিয়ে নিয়েছেন। আর ট্রেলারে প্রয়াত অভিনেতার মুখে কিছু সংলাপ শুনেও শিহরিত হয়েছেন সংযুক্তা। মৃত্যু, আত্মার কথা উঠে এসেছিল অভিষেকের মুখে। আগে থেকে কি কোনো আভাস পেয়েছিলেন তিনি? হয়তো বা!