বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য বিতর্ক এই মুহূর্তে চরমে। এমনকি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শোকজও করেছে কেন্দ্র। তার স্বপক্ষে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিও খারিজ করেছে তারা। এতদিন এ নিয়ে তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা একটু আধটু মুখ খুললেও কেমন ভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করতে গিয়ে এ বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি।
প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর এ ধরনের ব্যবহারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন বরং মোদি শাহের বিরুদ্ধেই বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের প্রয়োগ করা উচিত। তিনি বলেন, “‘উনি বাংলার মানুষের জন্য কাজ করছিলেন। যিনি কাজ করছিলেন তাঁকে কেন শো-কজ! প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই আইন প্রয়োগ হোক। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও। কমিশনের ব্যর্থতা। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ওই আইন প্রয়োগ হোক। দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, প্রতি দিন লাখ চারেক বলে মারা যাচ্ছেন, সকলকে বাড়িতে থাকার কথা বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী তখন এ রাজ্যে এসে সভা করছেন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সারা ভারতবর্ষে কোভিড ভয়াবহ রূপ ধারণ করলেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। এ নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন বাংলায়. কোভিড বাড়িয়ে দিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ সেই কথাটিই আরেকবার টেনে আনলেন অভিষেকও। তবে এই বিপর্যয়ে মুখ্যমন্ত্রী সকলের পাশে আছেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি। দক্ষিণ মহেন্দ্রপুর, দুর্গাচক প্রকৃতি এলাকার পরিস্থিতিও এদিন পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন, ফ্লাড রিলিফ সেন্টারে থাকা মানুষজনের সাথেও। এরপর রামগঙ্গা ঘাট থেকে লঞ্চে করে গোপালনগর এলাকা পরিদর্শনে যান অভিষেক। সেখানেও লঞ্চের ভিতর থেকে মানুষজনের খোঁজ নেন তিনি।