বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচন যতই কাছে আসছে, ততই নন্দীগ্রামকে (Nandigram) ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তাপমাত্রা বাড়ছে। শুভেন্দু অধিকারীর দুর্গ বলেই পরিচিত এই এলাকা আবারও তৃণমূল-বিজেপি লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। আর সেই আগুনে ঘি ঢেলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকেই কি ভোটে লড়বেন অভিষেক?
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাংবাদিকদের সামনে সুকান্ত দাবি করেন, “আমার কাছে খবর আছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধানসভায় দাঁড়াচ্ছেন। সেই জন্যই তাঁর ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের ওই জেলায় বদলি করা হচ্ছে। উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার শখ রয়েছে, তাই নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন।”
সুকান্তর এই মন্তব্য সামনে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। পরে অবশ্য সুকান্ত নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।”
নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও পাল্টা আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “ও এখানে দাঁড়ালেও ওকে কেউ ভোট দেবে না।” শুভেন্দুর মন্তব্যে আবারও পরিষ্কার, নন্দীগ্রামের আসন ধরে রাখাই তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হলেও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নেই।
তৃণমূল সুকান্তের দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে কটাক্ষ করেছে।
দলের অন্দরমহল মন্তব্য করে বলেন, “লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের অপছন্দের তালিকায় শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতেছে। এখানে অভিষেক-মমতাকে লাগবে না, একজন বুথস্তরের প্রার্থীও জয় নিশ্চিত করতে পারবে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, সুকান্তের দাবিতে নতুন করে জল্পনা দানা বাঁধছে। কারণ ২০১১-তে ক্ষমতায় এসে রেলমন্ত্রীর পদ ছেড়ে মমতা ভবানীপুরে উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন। শুভেন্দু অধিকারীও একসময় সাংসদ পদ ছেড়ে মন্ত্রী হন। তাই প্রশ্ন উঠছে অভিষেক কি এবার নন্দীগ্রামকেই বেছে নেবেন?
দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক
এদিকে দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে তৃণমূলের বৈঠকের পর এক্স (X)–এ বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি “নির্বাচন কমিশন বেছে বেছে তথ্য ফাঁস করছে। যেন দেখাতে পারে যে আজ আমাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে।” তিনি আরও লেখেন “যদি লুকোনোর কিছু না থাকে, তাহলে দাবি করা সব সিসিটিভি ফুটেজ ও নথি প্রকাশ্যে আনুক এক মুহূর্ত দেরি না করে। না হলে তাঁদের অসৎ উদ্দেশ্যই স্পষ্ট হবে।”

আরও পড়ুনঃ ‘ফিরহাদ ঠিক করবেন জন্মের ঠিকানা!’ পুরসভাকে তোপ দেগে কটাক্ষ শমীকের
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামকে (Nandigram) কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির লড়াই যে ফের তুঙ্গে উঠেছে, সুকান্তের বক্তব্য থেকে তা ফের স্পষ্ট। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।












