যতদিন যাচ্ছে মানুষ কঠিন ব্যাধির শিকার হচ্ছে। এর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ, অনিয়ম, খারাপ জীবন যাপন, শরীরের প্রতি যত্ন না নেওয়া। সব মিলিয়ে মানুষ কখন কি খারাপ রোগে আক্রান্ত হবে সেটা বলা মুশকিল। কিন্তু এসব রোগের মধ্যে সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক নতুন রোগ যার নাম সেপসিস। এটি কি কারণে হচ্ছে কেন হচ্ছে তা এখনও অজানা।
বছরে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ সেপসিসে মারা যাচ্ছে, যে সংখ্যা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যার চাইতেও অনেকটাই বেশি।ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, এটি “উদ্বেগজনক” পরিসংখ্যা। তারা জানিয়েছেন মূলত যে দেশের মানুষরা হতদরিদ্র এবং গরিব সেই দেশের মানুষের এই রোগ বেশি হচ্ছে।কিন্তু উন্নত দেশগুলিতে এই রোগ খানিকটা হলেও মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে।যে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া সংক্রমণ বা ফুসফুসের রোগ হয়ে থাকে সেগুলোই সেপসিস হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ।
এই রোগে রোগ প্রতিরোধ বেশি করার ফলে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আস্তে আস্তে বিকল হতে শুরু করে তারপর মানুষের অঙ্গ পুরোপুরি অকেজো হয়ে যায়। সেপসিস এ আক্রান্ত হওয়া মানুষের মধ্যে শিশুরা বেশি এই রোগে আক্রান্ত হয়। শিশুদের 5জনের মধ্যে প্রায় চার জন এই রোগে শিকার হয়. আর দেশের নিম্ন বিত্ত মানুষদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা দেয়। স্পেন, ফ্রান্স এবং ক্যানাডার মতো দেশের চাইতে ব্রিটেনে সেপসিসে মৃত্যুর হারও বেশি।প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে সেপসিসের কারণে প্রায় ৪৮ জন মারা যায়। স্পেন, ফ্রান্স এবং ক্যানাডার মতো দেশের চাইতে ব্রিটেনে সেপসিসে মৃত্যুর হারও বেশি।
১৯৫টি দেশের মেডিকেল রেকর্ডের ভিত্তিতে ল্যানসেটে প্রকাশিত এই বিশ্লেষণে দেখা যায় যে বছরে চার কোটি ৯০ লাখ মানুষ সেপসিসে আক্রান্ত হয়।সেপসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এক কোটি দশ লাখ মানুষ। যার অর্থ বিশ্বজুড়ে বছরে যতো মানুষ মারা যান, তাদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কারণ এই সেপসিস। সেপসিস থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা প্রয়োজন। এই রোগ ধরা পড়ার সময় সঠিক চিকিৎসা করলে কিছুটা এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমনকি এন্টিবায়োটিক এবং আন্টিভাইরাস ব্যবহার করে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব সেপসিস।