দীর্ঘায়ু পেতে কে না চায়? কথায় আছে আগেকার দিনে মানুষের দীর্ঘায়ু হতো। তার পেছনেও ছিলো নানা কারণ। তখন মানুষের জীবনযাপন এতটা বেনিয়মের ছিলো না। সত্যি বলতে একটা নিয়মের মধ্যে তাদের জীবন বাঁধা ছিলো। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যাম করা হাঁটা চলা, বাজার করা, কাজ করা, স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাওয়া। সব মিলিয়ে তাদের একটা গুছানো জীবন ছিলো।
কিন্তু এখন সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের জীবনে এতটাই ব্যস্ততা থাকে যে আমরা পুরো ছন্নছাড়া হয়ে চলি। নিয়ম মেনে চলিনা। বিজ্ঞান আমাদের এমন জায়গায় নিয়ে গেছে তার অপব্যাবহার করে আমরা সুবিধা ভোগ করছি। কিন্তু এটা আমাদের বিপদ ডেকে আনছে সেটা বুঝতে ভুলে যাচ্ছি এবং মস্তিষ্ক সচল থাকে।সুস্থ থাকলেই চলবে না। ত্বকেও ধরে রাখা চাই যৌবন। আর এর জন্য নিয়মিত ত্বকের যত্ন দিন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখে অ্যান্টি এজিং ময়েশ্চারাইজার দিয়ে মুখ ভালো করে ম্যাসাজ করে ঘুমান।
এছাড়াও মাঝে মাঝে পুরো শরীর স্পা করিয়ে নিন অথবা ম্যাসাজ করিয়ে নিন।প্রচুর ফল খান। ফলে আছে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা শরীরে পুষ্টি যোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই দীর্ঘায়ু হতে চাইলে নিয়মিত ফল খান।অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা ঝরিয়ে ফেলুন। কারণ অতিরিক্ত ওজন খুব দ্রুত মানুষকে বুড়িয়ে দেয় এবং আয়ু কমিয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম ও খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে যৌবন ধরে রাখা যায় এবং দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়।এছাড়াও যদি কোনো রোগ থাকে সেক্ষেত্রে তা না লুকিয়ে ডাক্তারের কাছে যান।
এর থেকেও বেশি নিজের মন ভালো রাখার চেষ্টা করা দরকার, কারণ মানসিক সমস্যা মানুষকে আস্তে আস্তে বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়। মন ভালো রাখা দরকার, ভালো বই পড়া দরকার, নিজেকে কাজে ব্যাস্ত রাখা দরকার। তবে তার মধ্যে নিজের যত্ন নেওয়া ভুললে হবেনা।শরীরের খেয়াল রাখা দরকার। বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে খাওয়ার দিকে। কারণ তার মাধ্যমে শরীরে পুষ্টি যায়।