বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই পারদ চড়তে শুরু করেছিলো ।অ নেকদিন আগেই দামামা বেজে গেছিলো বলে মনে করচ্ছিলেন অনেকেই। কারন এই সমস্ত অশান্তির মূলে ছিলো সুলেমানি। প্রসঙ্গত ইরানের সেনা প্রধান কাশেম সুলেমানিকে মার্কিন সেনা হত্যা করে। আর এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়েছে গোটা পর্বের সূত্রপাত। এরপর আবার মার্কিন -ইরান শত্রুতা উস্কে দিয়ে পাল্টা জবাবে ইরানও মার্কিন সেনাকে নিশানা করেছে ইরাকে
।এত কিছু ঘটনার পরেও এই দ্ধের যে কোন মড় নিতে চলেছে তা বলা খুব মুশকিল। আগের সপ্তাহেই ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জরিফ মধ্য প্রাচ্যের শান্তি ফেরানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও জয়শংকরের সঙ্গে ইরান-মার্কিন সংঘাত নিয়ে দুজন কথাও বলেছেন। আবার ওইদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন তারা। জাভেদ জরিফ রাইসিনা বার্তালাপ আলোচনাচক্রে এসে তার মতামত দেন ।
সোলেমানির মৃত্যুর পর ভারতের ৪৩০টা শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। ভারতের মানুষও এর প্রতিবাদ করেছেন। আমেরিকা ইরান বা ইরাকের মানুষের চোখ দিয়ে পশ্চিম এশিয়ার সমস্যা দেখছে না বলে জানান জরিফ। আর তার মধ্যে এক সপ্তাহ কাটেনি আবার পরিবেশ উত্তপ্ত। ইয়েমেনের ৭৫ জন সেনাকে হত্যা করেছে ইরান সমর্থিত হাউথি বিদ্রেহীরা। এই ঘটনায় এখনো অব্দি আহত হয়েছে ১০০ জন, নিহত হয়েছে ৭৫ সেনা।
এছাড়া ইয়ামেনে চারচেও নাকি হাম লা করা হয়েছে। তাই ইয়ামেনের পরিস্থিতি এখন খারাপ। ইরান সমর্থিত হাউথি বিদ্রেহীরা আবার ইয়ামেনে আক্রমন করে জটিলতা বাড়াতে শুরু করেছে। এর কিছুদিন আগেই ইয়েমেন সেনা আক্রমন করেছিলো হাউথি বিদ্রেহীদের ওপর , তাতে আহত হয় অনেক হাউথি বিদ্রেহী । আর এই ঘটনার পরে ঘুড়িয়ে আক্রমণ করে হাউথি বিদ্রেহী । বারংবার এরকম হিংসাত্মক ঘটনা পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলছে। পাশাপাশি উদবেগ বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের।