নিজেদের সুস্থ রাখতে  নষ্ট করুন এই উদ্ভিদ

পথের ধারে আগাছার মতন গজিয়ে ওঠা গাছগুলি শরীরের পক্ষে যে কতটা ক্ষতি করে তা হয়তো আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু বর্ষাকালে এমন কিছু গাছ জন্মায় তা আমাদের শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর। তার মধ্যে একটি হলো পার্থেনিয়াম। পার্থেনিয়াম গাছের প্রভাবে মানুষের অ্যাজমা,ব্রঙ্কাইটিস,হাই ফিভার,অ্যালার্জি,হাঁপানি, ক্ষতসহ চর্মরোগ, প্রচণ্ড ম্যথাব্যথ গবাদি পশুরও ওই রোগগুলি হতে পারে।

পাশাপাশি ‘পার্থেনিয়াম আগাছা’ যুক্ত মাঠে গবাদিপশু চরানো হলে পশুর শরীর ফুলে যাওয়া, তীব্র জ্বরসহ নানা রোগে আক্রন্ত এবং বদ হজম দেখা দেয়। এমনিতেই বর্ষাকালে নানান রকমের রোগ এবং শারীরিক সমস্যা আমাদের লেগেইব থাকে। শরীরে মাঝে মাঝেই রোগ বাসা বেধে থাকে। কিন্তু পার্থেনিয়াম গাছ শুধু মানুসষর ক্ষতি করেনা চাষে্র জমিতে থেকে  ফসলের ক্ষতি করে। আর সেই জমির ক্ষতি করে।

P 2

 

 

ওই জমিতে চড়ে বেড়ানো গবাদি পশুর ক্ষতিও করে । গবাদি পশুর শরীর ফুলে যায়, জ্বর এবং আরো অনেক সমস্যাই দেখা যায়। প্রায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সেই সমস্যা অন্য পশুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। সব্জির মধ্যে বেশ কিছু যেমন ধান , ছোলা, বেগুন, সরোস, লঙ্কা এসব ফসলের ক্ষতি করে। এদের বাড়ার হার কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি এই গাছ এমন একটা ক্ষতিকর রাসায়নিক বিষ বের করে সেইজন্য প্রানী , গাছ বা মানুষ প্রত্যেকের সমান ক্ষতি হয়। শরীরের ক্ষতি মারাত্মক ধরনের হয়ে থাকে। তবে এই গাছের প্রথম উতপত্তি হয় মেক্সিকো থেকে।

সেকান থেকে আমেরিকা, আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান, চীন , নেপাল, বাংলাদেশ সব জায়গায় ছড়িয়ে পরে। একটি গাছ বাঁচে তিন থেকে চার মাস। এই সময়ের মধ্যেই তিনবার ফুল ও বীজ দেয়। গোলাকার, সাদা, আঠালো এবং পিচ্ছিল হয়ে থাকে এর ফুল। পার্থেনিয়ামের একটি গাছ ৪ থেকে ২৫ হাজার বীজের জন্ম দিতে পারে। এই গাছ  নষ্ট করার জন্য পুড়িয়ে ফেলা, এর রেনু মাটির ভেতরে পুতে ফেলা, রাসায়নিক দিয়ে  নষ্ট  করা উচিত।

সম্পর্কিত খবর